শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

ভারতের বিপক্ষে বিদর্ভ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দলে ঢুকতে পারেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।  তাকে দলে জায়গা করে দিতে অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলামকে বেঞ্চে বসতে হতে পারে। প্রথম দুই ম্যাচে তিনি বেশ খরুচে ছিলেন। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে তিনি নেন দুই উইকেট। তবে ওই ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং ঋষভ পান্তের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও খরুচে ছিলেন এই পেসার।

অন্যদিকে মুস্তাফিজুর রহমানও দুই ম্যাচে খরুচে বোলিং করেছেন। প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে ১৫ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৩.৪ ওভারে খরচা করেছেন ৩৫ রান। উইকেটও পাননি তিনি। তবে কোচের আস্থা আছে বাঁ-হাতি পেসারে। নাগপুরের স্লো উইকেটে মুস্তাফিজ ম্যাচ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ম্যাচ পূববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। টি-২০ ক্রিকেটে কোচ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মনে করেন মুস্তাফিজকে। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তার বল করার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।

দলে দ্বিতীয় পরিবর্তন হতে পারে মোসাদ্দেক হোসেন। তার জায়গায় মোহাম্মদ মিঠুনকে খেলানো হতে পারে। মোসাদ্দেক দ্বিতীয় ম্যাচে স্লগ ওভারে ব্যাটিং করে দলের চাহিদা অনুযায়ী রান তুলতে পারেননি। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পারা মিঠুন তাই  দলে ঢুকতে পারেন।

নাগপুরের উইকেট বিবেচনায় টস জয়ী দল শুরুতে ব্যাটিং করলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি। এর আগের ১১ ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করা দল আটটিতে জয় তুলে নিয়েছে।  বাংলাদেশ দলের হয়ে দুই ম্যাচেই স্ট্রাইক রেট ভালো রেখে ব্যাটিং করেছেন সৌম্য সরকার। অন্য দিকে নাঈম শেখ ভালো ব্যাটিং করলেও তার স্ট্রাইক রেট  (১০৫.০৮) কম।  অনেকের তাই প্রশ্ন সৌম্য সরকার কেন পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং করছেন না।

বাংলাদেশের সম্ভব্য একাদশ: লিটন দাস, নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম।

ভারতের সম্ভব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পান্ত, শিভাম দুবে, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ওয়াশিংটন সুন্দর, দিপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, যুজবেন্দ্র চাহাল।