শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, মঙ্গলবার, ১৯নভেম্বর, ২০১৯ঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, “বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন আধুনিক বিশ্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের এটি একটি অংশ। একটি দেশের বিচার ব্যবস্থা সে দেশের আদর্শ উন্নয়নের মাপকাঠি। আমাদের বিচার ব্যবস্থা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তুলনামূলক বিচারে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিচার ব্যবস্থার চেয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থা অনেক অনেক ভালো। আমাদের বিচারের রায় অন্য দেশ অনুকরণ করছে।”

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর ২০১৯) বিকেলে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-সম্পাদক কাজী শামসুল হাসান শুভ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, “ডিজিটালাইজেশনের দিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচার বিভাগও এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বিচার বিভাগের কাজের ধরণ বদলে যাচ্ছে। আদালতে কাজের গতি বেড়েছে, বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জিজিটাল জুডিশিয়ারী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আশা করি আমরা মানুষের জন্য সহায়ক বিচার পদ্ধতি দিতে পারবো। সরকার ইতোমধ্যে ই-জুডিশিয়ারী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিচার বিভাগ ও আদালতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।”

বিশেষ অতিথি গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, “ল’ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আইনজীবীদের জন্য আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষসাধিত, পরিশিলীত ও পরিমার্জিত একটি ব্যবস্থা। এটি একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা। সারা পৃথিবী তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রত্যয় ব্যক্ত করে সেটাকে কার্যকর করার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য ডিজিটাল ব্যবস্থা এখন বাস্তবতা। এ ব্যবস্থা জুডিশিয়াল প্রসেসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছে।”

সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য জুডিশিয়ারীর অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত সমালোচনা করা কারো কারো ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আত্মসমালোচনা করলে তারা দেখতে পাবেন, বাংলাদেশে জুডিশিয়ারী কতটা কার্যকর ও স্বাধীন হয়েছে। পক্ষে বিচারের রায় গেলে আমরা স্বাগত জানাই, বিপক্ষে রায় গেলে আমরা বলি আজ্ঞাবহ বিচার হয়েছে। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জুডিশিয়ারী যেনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্য সকলে মিলে কাজ করা দরকার। তা না হলে অমরা সকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবো।”

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আরো বলেন, “সমাজ ব্যবস্থার অবক্ষয়ের বল্গাহীন স্রোতে জুডিশিয়ারীকে সকলে মিলে ধারণ করতে হবে, লালন করতে হবে এবং শ্রদ্ধা করতে হবে। একইসাথে এর স্বাধীনতা আরো সুসংহত করতে হবে।”

তিনি আরো যোগ করেন, “আইনজীবীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে যে ক্ষতি হয়, তা থেকে ফিরে আসা যায়না। এজন্য তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”