শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,৩০জানুয়ারি,২০২০ঃ অসুখ হলে সবাই ওষুধ খাওয়ার কথাই চিন্তা করেন। কিন্তু সব সময় ওষুধ না খেয়ে বিকল্প কিছুও চিন্তা রাখতে পারেন। এমন কিছু খাবার আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কমে। যেমন-

বিট : বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এ কারণে নিয়মিত বিটরুট খেলে হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং যেকোন ধরনের প্রদাহের ঝুঁকি কমে।

স্বাদে মিষ্টি বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকায় এটি হজমের জন্যও উপকারী। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় বিটরুট যোগ করলে নানা রোগের ঝুঁকি কমে।

প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক : বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় শক্তিবর্ধক কিছু খাবার যোগ করতে পারেন। যেমন-অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, কাঁচা পেঁয়াজ, আদা কুঁচি, হলুদের গুঁড়া, রসুন কুঁচি, গোল মরিচ, মধু ইত্যাদি শক্তিবর্ধক উপাদান হিসেবে কাজ করে।

এসব উপাদান দিয়ে শক্তিবর্ধক একটি মিশ্রণও তৈরি করতে পারেন। এ জন্য আপেল সিডার ভিনেগার ছাড়া সব কটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটা বয়ামে রেখে এতে ভিনেগার যোগ করুন। এরপর বয়ামের মুখ আটকিয়ে ভালোভাবে ঝাঁকান। এবার বয়ামটি ঠান্ডা জায়গায় ১৪ দিন পর্যন্ত রেখে দিন। প্রতিদিন এ মিশ্রণটি এক চামচ পরিমাণে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।

ক্রানবেরি : যেকোন ধরনের সংক্রমণ এবং মূত্রাশয়ের সমস্যা কমাতে ক্রানবেরি বা এর জুস দারুণ কার্যকরী। এছাড়া স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হতেও সাহায্য করে এ ফল। নিয়মিত ক্রানবেরি জুস বা ক্রানবেরি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে।

হলুদের লেমোনেড: হলুদের লেমোনেড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। এ জন্য ৪ কাপ ঠান্ডা পানির সঙ্গে ৪ চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া, আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে লেমোনেড তৈরি করুন। চাইলে এতে কমলার রসও যোগ করতে পারেন। নিয়মিত এ পানীয় পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ফ্ল্যাক্স সিড : ফ্ল্যাক্স সিড এমন এক উপকারী বীজ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি নানা ধরনের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। ভালো ফল পেতে পানীয়, কিংবা নির্দিষ্ট খাবার তৈরির সময় দুই চামচ ফ্ল্যাক্স সিড যোগ করতে পারেন