আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা তাদের সঙ্গে একাধিকবার বসলেও ঘটে যাওয়া ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। তাই তারা ক্লাস-পরীক্ষা চালুসহ চার দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন।
ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে একাডেমিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তারা।
গত ছয় দিন ধরে একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা সকাল থেকে আমরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবে বহিরাগত এক শিক্ষক দ্বারা এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিভাগের কিছু শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে কোনো বাধা প্রদান না করে উল্টো ওই বহিরাগত শিক্ষককে উৎসাহিত করেন। গত ২ মার্চ শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে পূর্বের ঘটনার জবাবদিহিতা ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবি পেশ করেন।
এ দাবি পরের দিন ৩ মার্চ বিভাগের কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থী ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধানের রুমে তলব করেন।
তলব করা শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের রুমে প্রবেশ করলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ওই রুমের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু শিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর জের ধরে গত ৪ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় বিভাগীয় প্রশাসন।