শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,১২মার্চ,২০২০ঃমোংলা প্রতিনিধিঃ মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলের দিগরাজ বাজার এলাকা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ দু’ পরিবারের ১২ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরে আটক রহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছে পুলিশ। বন্দরের শিল্পাঞ্চলের দ্বিগরাজ বাজার থেকে
আটককৃত ১২ জন হলো-মিয়ানমারের আইক্যাপ প্রদেশের বগমপাড়া সদর এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে জাবেদ (৩২), জাবেদের স্ত্রী নূর বেগম (৩০), মেয়ে রেশমী (১২), ছেলে ইয়াসিন (৮) মেয়ে মোঃ কাল্লে (৬), মেয়ে ইয়াসমিন (২), মৃত্যু রফিক’র স্ত্রী মিসেস ফাতিমা বেগম (৩৩), ছেলে সৌমিন (১৩), ইয়াসমিন-২ (১১), ছেলে রশিদ (৮), শফিক (৬) ও মেয়ে রোকসানা (৩)।
আটক হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, গত ৯ মার্চ সোমবার যশোরের বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত এলাকা থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এই রোহিঙ্গারা। সেখান থেকে ট্রেনযোগে খুলনা পৌঁছায় মঙ্গলবার। পরে এদিন বিকালের দিকে খুলনা থেকে বাস যোগে মোংলার দিগরাজে অবস্থান নেয় পরিবার দু’টি। সেখানের তাদের কথা-বার্তা ও চলাচলের গতিবিধি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে মোংলা থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ ১২ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাদের কাছে যানতে পারে ২০১২ সালে মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে সেখানকার সেনা সদস্যদের হাত থেকে জীবন বাচাতে শিশু সন্তানদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বসবাস করতেন তারা। কিন্ত সম্প্রতি ওখানেও টিকতে না পেরে দালালের মাধ্যমেত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, প্রথম পর্যায় তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি এসকল রহিঙ্গারা ২০১২ সাল থেকেই ভারতে বসবাস করতেন। কিন্ত সম্প্রতি তারা মিয়ারমারের লোক জানতে পেরে অসাধু দালাল চক্র তাদেরকে বাংলাদেশে পুশ করেছে। তাদের এখানকার কিছু চেনা-জানা না থাকায় দ্বিগরাজে অবস্থান নিয়েছিল। আটক হওয়া রহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য মোংলা থানার পক্ষ থেকে বাগেরহাট আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রস্তুত রয়েছি, অনুমতি পেলে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার এলাকায় তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর হবে।