শুক্র. মার্চ ২৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার২৪ সেপ্টেম্বর,২০২০: মানুষের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ, রোগীর সকল তথ্য ডাক্তারকে প্রদান করাসহ একজন নার্সের কাজগুলো সূচারুভাবে পালনে সক্ষম রোবট উদ্ভাবন করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শেষ বর্ষের ৪ শিক্ষার্থী। বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে এটির কাজ সম্পন্ন হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাড়া জাগানো এই উদ্ভাবনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- দলনেতা দূর্গা প্রামাণিক, মৌসুমি কণা, সুমনা আক্তার ও আফরিন আহমেদ বৃষ্টি। তারা জানিয়েছেন, রোবটটির নাম দেয়া হয়েছে- এ্যাভওয়ার (ABHWR), যার পূর্ণরুপ- ‘Advanced Biopola Humanoid Walking Robot’.

রোবটটির বিশেষত্ব সম্পর্কে তারা জানান, নার্সের কাজ ছাড়াও যেকোনো অফিসে এটি রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। একইসঙ্গে অনলাইনে বিভিন্ন কাজেও সক্ষম রোবটটি। এরসঙ্গে ব্লুটুথ সংযোগ থাকায় অফলাইনেও কাজ করতে পারবে এটি। এছাড়া হাঁটা-চলা ও কথা বলতেও সক্ষম বিশেষ এই রোবটটি।

সংশ্লিষ্টরা জানান- চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাস সংলগ্ন নিরিবিলি নামক একটি পরীক্ষাগারে এর কাজ শুরু হয়। করোনাজনিত কারণে ৩ মাস বিলম্বের পর চলতি মাসের ৯ তারিখে কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর বেশকিছু প্রক্রিয়া শেষে ২১ সেপ্টেম্বর এটি নিজ বিভাগে উন্মুক্ত করা হয়।

পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সুপারভাইজার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন- সিএসই বিভাগের শিক্ষক শেলিয়া  রহমান। কো-সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেন একই বিভাগের শিক্ষক রোয়িনা আফরোজ অ্যানি। এছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেন উজ্জ্বল সরকার, যিনি সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

রোবট উদ্ভাবনের বিষয়ে সিএসই বিভাগের প্রধান মো. করম নেওয়াজ বলেন, ‘ডিপার্টমেন্ট থেকে শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রজেক্ট দেয়া হয়। সে অনুযায়ী এই ধরণের চমৎকার কাজগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উঠে আসে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অসাধারণ কর্মদক্ষতার অধিকারী, যার প্রমাণ এই উদ্ভাবন। এটাকে ডেভলপ করতে আরও কিছু কাজ চলছে। রোবটটির পেছনে যারা কাজ করেছেন, তারা প্রত্যেকেই মেয়ে। মেয়েরা যে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই, এটা তার প্রমাণ।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসেও একই বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থী মিলে ‘মিরা’ নামে একটি রোবট  উদ্ভাবন করে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।