শুক্র. এপ্রি ১৯, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,সোমবার,০২,নভেম্বর,২০২০: বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি রাজস্বকরণের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (সিএইচসিপি) সংগঠন বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান সিএইচসিপি নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েসশনের যুগ্ম মহাসচিব মো: মাসুদুর রহমান জিলাদার।

তিনি বলেন, সিএইচসিপি হিসেবে শুরুতে ১৩ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার নিয়োগ দেয়া হলেও বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কর্মরত আছেন। এর মধ্যে চার হাজার ৫০০ জনের অধিক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ৬০ শতাংশ নারী।

লিখিত বক্তব্যে মো: মাসুদুর রহমান জিলাদার জানান, ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত যোগ্যতা, একাগ্রতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এখন পযন্ত আমাদের চাকরি রাজস্বে নেয়া হয়নি। এমনকি চাকরীর বয়স ৯ বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বেতনের সাথে কোনো ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি। আমাদের কোন ভবিষ্যৎ তহবিল নেই। এমনকি সিএসসিপি অসুস্থ হলে চিকিৎসার খরচ বাবদ কোন সুযোগ সুবিধা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমিউনিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারা ২০১১ সাল থেকে কর্মরত আছেন। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। নবজাতকের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জন্ম নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জরিপের কথা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ আর পরামর্শ নিয়ে ৮০ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট। সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) জরিপে উঠে এসেছে জাতীয় রোগ প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা নিয়ে ৯৮ শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট।

লিখিত বক্তব্যে জিলাদার জানান, চাকরির জনিত দুশ্চিন্তা ও দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত আমাদের ৫৬ জন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে চারজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পাঁচ শতাধিক সহকর্মী বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় দায়িত্ব পালনকালে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলেও কোনো ক্ষতিপূরণ কিংবা কোন প্রণোদনা দেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিএইসসিপি স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো অর্জিত ছুটি নেই। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নিয়মিত মাসিক বেতনও দেয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই কমিউনিটি ক্লিনিক তার জৌলুস হারাবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. ফখরুল ইসলাম, মো: সুমন মাদবর, শেখ মহিবুল হাসান, মো: কাইয়ুম হোসেনসহ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়শনের নেতৃবৃন্দ।