আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্তবর্তী ছিটমহল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস তৈরি করেন। যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে একটি চুক্তি সই হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৪০ বছর ধরে ঝুলে থাকা জটিল সীমান্ত সমস্যা ভারতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে অভূতপূর্ব বিল পাসের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সহযোগিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া পদক্ষেপের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলগুলোতে শান্তি নেমে এসেছে। যার ফলে নরেন্দ্র মোদির সরকার তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের কঠোরভাবে দমন করার ফলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ কমে এসেছে, যার সুফল পাচ্ছে ভারত। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক মূলত ঐতিহাসিক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে রচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার মাধ্যমে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,২৪আগস্ট,২০২১ঃ নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে সাম্প্রতিক কর্মচাঞ্চল্য এই সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে জনমনে কর্মচাঞ্চল্যতার জন্ম দিয়েছে। দুই দেশের মানুষের ইতিহাস, ভূগোল, ভাবাবেগ, মূল্যবোধ ও স্বার্থের এক অপূর্ব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এক বিশেষত্ব দান করেছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ভারতীয় সরকার ও জনগণ এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে অপূর্ব সমন্বয় ও সমঝোতা তৈরি হয়। এই সম্পর্ক মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য চির ধরলেও তা আবার পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে।