এবিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান তালুকদার জানান, সমাবেশ শেষে বিকেলে শহরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুনেছি একটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন- পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এলিজা জামান, এম ডি লিয়াকত আলী শেখ বাদশা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুস ছালাম বাতেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম শহিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমারসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের নেতারা।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রলীগ এর শতাধিক নেতাকর্মীরা পাইপ ও রড নিয়ে হামলা করে।নাজিরপুর উপজেলা থেকে আসা ২টি বাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে বাস ভাঙচুর করে।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু জানান, বিকেলে কর্মসূচী শেষে দলীয় কার্যালয় এলাকায় হঠাৎ করে তিনদিক থেকে ছাত্রলীগ নেতা সজলের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাইপ ও রড নিয়ে হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর। এর আগে, কালিবাড়ি রোডে কয়েকজন কর্মীকেও মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। হামলায় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ২৬ জন আহত হয়েছে। ছাত্রলীগ মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুলের বাসায়ও হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে ছাত্রলীগ এর এই সন্তাসিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
বর্তমানে পিরোজপুর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছে পুলিশ।