খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ। তবে মূল অংশের প্রভাব শুরু হবে আজ দুপুর ২টার পর। আর মূল অংশ পুরোপুরি আঘাত হানতে পারে সন্ধ্যার দিকে। এর প্রভাবে দেশের আট উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মিধিলার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতি বেড়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার উপকূলে।
দুপুর সোয়া একটায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দুপুর ১২টার দিকে মিধিলির অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করে। এ সময়ের আগে বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার। তবে দুপুর ১২টার পর তা বাড়তে থাকে। দুপুর দেড়টায় এ খবর লেখার সময় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলছে, সন্ধ্যার মধ্যেই এর মূল অংশ খেপুপাড়ার দিকে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলছে, মিধিলি মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। এটি ‘এ’ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ হাজার ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা, ফেনী, বাগেরহাট, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এসব অঞ্চলের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এসব অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।