Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
27শান্তিরক্ষীদের যৌনঅপরাধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। আর শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তায়ও দিতে হবে সর্বো”চ অগ্রাধিকার। জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এই শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের সবগুলো সুপারিশই বাস্তবায়নে প্রস্তুত বাংলাদেশ। তার সরকার দেশে একটি জাতীয় শান্তিরক্ষা কৌশল গ্রহণের চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের অঙ্গীকার। মালি, কঙ্গো ও মধ্য আফ্রিকায় ব্লু হেলমেট ট্রুপ পাঠাতে বাংলাদেশ এতটুকু দেরি করেনি। গত বছরের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পদাতিক ব্যাটেলিয়ন, পুলিশ ইউনিট, ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, প্রকৌশল ও নৌ ইউনিটসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গিয়ে শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর বিরাজমান ঘাটতি পূরণে প্রস্তুত।
জাতিসংঘ শান্তি মিশনগুলোকে নতুন প্রযুক্তি দিয়ে আধুনিকায়ন করা এবং শান্তিরক্ষার নীতিগুলো সুচারু রূপে অনুসরণ করার ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে ইন্সটিটউট ফর পিস সাপোর্ট অপারেশনস অ্যান্ড ট্রেনিং (বিপসট) প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা শান্তিরক্ষীদের, বিশেষ করে নারী শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। অন্য দেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীও এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে বলে জানান তিনি।
যুদ্ধবিধস্ত দেশে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা, নারীদের অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বে শান্তি ও নিরপত্তা রক্ষায় শান্তিরক্ষী কমিউনিটিকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, রুয়ান্ডা, উরুগুয়ের রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধানরা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।