Fri. Jun 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫ : রাজধানীতে গতকাল শনিবার হামলা চালিয়ে এক প্রকাশককে 33হত্যা এবং আরেক প্রকাশকসহ তিনজনকে জখমের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক—সুজন।
সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে বেশ কিছুদিন ধরে মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩১ অক্টোবর হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস জোড়া হামলা চালানো হয় ঢাকায় দুই প্রকাশক এবং আরও দুই কবি ও ব্লগারের ওপর। বেলা আড়াইটায় লালমাটিয়ায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে প্রথম হামলার খবর পাওয়া যায়। যখন আক্রান্তদের নিয়ে চিকিৎসা চলছিল এমন সময় শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটে আরেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে রক্তাক্ত ও নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। দুই ক্ষেত্রেই হামলার পর প্রতিষ্ঠান দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, এ আক্রমণ শুধু ব্যক্তি ফয়সাল আরেফিন দীপনের ওপরই নয়; মুক্তচিন্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপরই আক্রমণ। দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক আবুল কাশেম ফজলুল হক। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে একইভাবে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকেই এখন পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে আমরা জানতে পারি যে অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক হওয়ায় ফয়সাল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল ছিলেন হামলাকারীদের মূল টার্গেট।’
একের পর এক লেখক ও ব্লগার হত্যায় নাগরিক হিসেবে ‘গভীরভাবে ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও শঙ্কিত’ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে এর আগে যে পাঁচজন ব্লগারকে (আহমেদ রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়) হত্যা করা হয়েছিল; সেসব ঘটনার এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য তদন্ত বা অগ্রগতি হয়নি। আমরা মনে করি, সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, পরমত সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতার চর্চা ব্যতীত এ ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড রোধের আর কোনো বিকল্প পথ নেই। আমরা আরও মনে করি, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কেবল আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয় নয়, এ রকম হত্যাকাণ্ড ও ঘটনা দল-মত নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই মোকাবিলা করতে হবে।