খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৫: ফ্রান্সের প্যারিসে জঙ্গি হামলায় ১২৯ জন নিহতের ঘটনায় আটলান্টিকের ওপারের যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়নপ্রত্যাশী ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানের প্রার্থীরা প্যারিস হামলার পর নতুন করে কর্মকৌশল ঠিক করছেন। সন্ত্রাসবাদ দমন, রাষ্ট্রীয় ও জনগণের নিরাপত্তা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শরণার্থী গ্রহণের মতো বিষয়গুলোর পাশাপাশি জঙ্গিবাদ দমনে কী করবেন, তা ঘটা করে প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী বছর ১০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্যারিস হামলার পর মার্কিন কংগ্রেসের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারির শরণার্থী গ্রহণের চিন্তা নিছক কাল্পনিক। আর যদি শরণার্থীদের আশ্রয় দিতেই হয়, তবে কেবল খ্রিষ্টান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে।
প্যারিস হামলার পরদিনের বিতর্কে তোপের মুখে পড়েছেন হিলারি ক্লিনটন। দলের অন্য প্রার্থী বার্নি সেন্ডারস অভিযোগ করেন, তৎকালীন সিনেটর হিসেবে হিলারি ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। ইরাক যুদ্ধের পরিণতিতেই মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হয়েছে। এর জবাবে হিলারি বলেছেন, জঙ্গি উত্থান রোধে যুক্তরাষ্ট্রকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। এমন অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। তাদের ঠেকাতেই হবে।
ওদিকে রিপাবলিকান দলের আলোচিত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস হামলার পর আগেভাগেই বলে রেখেছেন, সিরিয়া থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামা যেসব শরণার্থী গ্রহণ করবেন, নির্বাচিত হলে তিনি তাদের সোজা সিরিয়ায় ফেরত পাঠাবেন।
রিপাবলিকান দলের অপর প্রার্থী জেব বুশ বলেছেন, ‘আমাদের সময় এ যুদ্ধকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। এ জঙ্গিগোষ্ঠীকে পরাজিত করার জন্য সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করতে হবে।’
এদিকে, আইএসের উত্থান রোধ ও জঙ্গিবাদ দমনের কৌশল নিয়ে পরিষ্কার কোনো পরিকল্পনা নেই—এমনটা অভিযোগ করে হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ স্মিডথ বলেছেন, প্রশাসনে বা রাজনৈতিক বিতর্কের মঞ্চে এমন একজন লোকও নেই, যিনি বলতে পারবেন, এখন কী করা উচিত।
তিনি বলেন, রিপাবলিকানরা আইএস দমনে প্রশাসনের কোনো সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল নেই বলে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দায়ী করছেন। কিন্তু রিপাবলিকান দলের কাছেও এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা বা কৌশল নেই।