খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫।।পৌর ভোটের কার্যক্রম পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হলেও ইসির অধিকাংশ কর্মকর্তা কাল অফিসে আসেননি। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে প্রার্থী তথ্য ব্যবস্থপনার জন্য তৈরি করা বিশেষ সফটওয়্যার বেশিরভাগ সময় অকেজো ছিল। ফলে মনোনয়ন জমার ২৮ ঘণ্টা পরও প্রার্থী সংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি। ইসি সচিবালয়ে গতকাল ছুটি ছুটি ভাব লক্ষ্য করা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসি কার্যালয়ে সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সারাদেশে মনোনয়নপত্র জমা ও পরবর্তী কার্যক্রমকেন্দ্র থেকে মনিটর করা হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আসা তথ্য যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লাগছে। ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।মনোনয়নপত্র দাখিল পরবর্তী নির্বাচন কাজের সুবিধার্থে কমিশন সচিবালয় ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন উইংয়ের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হলেও বেশিরভাগ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অফিসেই আসেননি। মাঠপর্যায়ের নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন অনুপস্থিত। কমিশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি কম থাকায় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ দিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েন অনেকে। অনেকেই অভিযোগ জমা দিতে এসে সংশ্লিষ্ট শাখার কাউকে খুঁজে পাননি।
ইসি সচিবালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য নির্বাচনে পদস্থ কর্মকর্তাদের যে তৎপরতা দেখা যায়, এবার তা চোখে পড়ছে না। কমিশনের নিজস্ব সফটওয়্যার ‘প্রার্থী তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (সিআইএমএস)’ ব্যবহারের কথা বলা হলেও দক্ষ কর্মীর অভাবে গতকাল বেশিরভাগ সময়ই কাজ হয়নি। মাঠপর্যায় থেকে দ্রুত তথ্য পেতে বিগত উপজেলা নির্বাচন থেকেই এই সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করে ইসি। গতকাল অনেক পৌরসভা থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নের তথ্য কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়নি। অনেক পৌরসভা থেকে পাঠানো হলেও তা সমন্বয় করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
তবে আজ জমা হওয়া মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পরে সিআইএমএস সফটওয়্যারের পাসওয়ার্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে। ‘স্ট্রেংদেনিং ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ (এসইএমবি) প্রকল্পের আওতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এই সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রার্থীরা কোন কোন ক্ষেত্রে যোগ্য ও অযোগ্য বিবেচিত হবেন, তা উল্লেখ করে ৬ নম্বর পরিপত্র জারি করা হয়েছে মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর। যদিও তার আগেই ৭ ও ৮ নম্বর পরিপত্র জারি করা হয় ইসি সচিবালয় থেকে।