খোলা বাজার২৪,রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫: বাহুবলী রাজনীতির অংশ হিসেবে ভোটের ময়দানে “োর গুলি, বোমার ব্যবহার প্রায়ই দেখা যায়। ভোটে জয় বা হারের পর বিরোধী দলের নেতা, কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনাও ঘটে ভুরিভুরি। নির্লজ্জ ভোট রাজনীতির বলি হতে হয় নিরীহ মানুষদের। কিন্তু, পরাজয়ের বদলা গণধর্ষণ!
এরকমটাই ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মির্জ়াপুর জেলার একটি গ্রামে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ব্লক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের জয়ী মহিলা প্রার্থীর মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পরাজিত প্রার্থীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে।
আর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শেষে আত্মহত্যা করে ওই নির্যাতিতা। আর প্রকাশ্যে এসেছে রাজনীতির নোংরা দিক। জানা গেছে, নির্বাচনের পরই জয়ী নারী প্রার্থীর মেয়েকে অপহরণ করা হয়। এরপর একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাঠে নিয়ে গিয়ে দুই দুষ্কৃতীরা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে এসে ওই নাবালিকা তার মাকে সব খুলে বলে। অভিযুক্তদের নামও তার মাকে জানায় সে। তারা বিরোধী দলের লোক বলে এলাকায় পরিচিত।
ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান ওই নারী। কিন্তু, অভিযোগ নেওয়া তো দূরের কথা তাদের বাড়ি চলে যেতে বলা হয় বলে দাবি তাঁর। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নাবালিকা। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আর একটা জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পর পাপ্পু বাহেলিয়া ও বিন্দু বাহেলিয়া নামে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মির্জ়াপুরের এসপি অরবিন্দ সেন। অভিযুক্তরা পরাজিত প্রার্থীর আত্মীয় বলে জানিয়েছেন তিনি।