Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

35kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬ : আমরা প্রায়ই শুনে থাকি ড্রোনের কথা। ড্রোন সম্পর্কে ইতিমধ্যে অনেক কিছু জানা হয়ে গেছে। ড্রোন হচ্ছে চালকবিহীন ছোট্ট একটি যন্ত্র যা আকাশে উড়তে পারে। রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে এই যন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা খবরে শুনি ড্রোন হামলার কথা। কারণ এই ড্রোনের সাহায্যে কোন লক্ষ্যব¯‘তে নিখুঁতভাবে বোমা ফেলা যায়। এছাড়াও আজকাল নানা কাজে যেমন উপর থেকে ছবি তোলার কাজে ড্রোন উড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এই ড্রোন নিয়ে বিপত্তি হচ্ছে আকাশে যাত্রীবাহী কোন বিমানের সাথে যদি ছোট্ট এই যন্ত্রটির সংঘর্ষ হয় তাহলে তার পরিণতি কী হতে পারে এই নিয়ে গবেষণার দাবি জানিয়েছেন পাইলটরা। কারণ বৃটেনে এক পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে গত ৬ মাসে এরকম ২৩ টি ঘটনা ঘটেছে যাতে অল্পের জন্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
বিবিসির ওয়েনরিচ নামে এক ড্রোন পাইলট বলেন, সংবাদের জন্য ড্রোনের সাহয্যে ছবি তোলাই আমার কাজ। ড্রোণ উড়ানোর সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয় সেগুলো ব্যাখ্যা করে ওয়েনরিচ বলেন, ড্রোণের সাহায্যে ছবি তোলার সময় আমি সর্বদা চেষ্টা করি ভিন্ন একটা কিছু তুলে ধরতে। এমনভাবে ছবি তুলি যাতে করে দর্শকরা এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এমন একটা ছবি তোলার চেষ্টা করি যা দর্শকরা আগে কখনও দেখেনি। ড্রোন আপনাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এই যন্ত্রটির সাহায্যে এমন সব ছবি তোলা যাবে যা অন্য উপায়ে তোলা সম্ভব না। ড্রোণের সাহায্যে ছবি তোলার লাইসেন্স পেয়েছি ৩ বছর আগে। তার পর থেকে ছবি তোলার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছি।
ওয়েনরিচ আরও বলেন, যেখানে অবস্থান করছি সেখানে থেকে ৫শ’ মিটার উঁচু পর্যন্ত ড্রোণ উড়ানো যাবে। যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টি রাখা যায় ততদূর পর্যন্ত ড্রোন উড়ানো উচিত। তাহলে বিমানের সাথে সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি হবেনা। কোন ব্যক্তির ৫০ মিটারের মধ্যে ড্রোন উড়ানো যাবে না। যাতে এই ড্রোণ কারোও শরীরে আঘাত করতে না পারে। ছবি তোলার সময় লোকজনের নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কথাও বিবেচনা করতে হয়। এছাড়া বিমানবন্দরের আশেপাশে বিশেষ কিছু এলাকায় ড্রোন উড়ানো যাবে না।
নানা আকারের ড্রোন ব্যবহার করা হয় ছবি তোলার কাজে। বড় ড্রোন বড় ক্যামেরা, ছোট্ট ড্রোন ছোট ক্যামেরা বহন করতে পারে। ক্যামেরাকে রিমোর্টের সাহায্যে চারদিকে অর্থাৎ ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরোনো সম্ভব। কিন্তু সেই কাজটা করেন আরেক জন। অর্থাৎ একজন কাজ করেন ড্রোনের পাইলট হিসাবে, আরেকজন চালান ক্যামেরা। এভাবেই যৌথভাবে ড্রোণের সাহায্যে উপর থেকে একটি ছবি তোলার কাজ সম্পন্ন হয়।