খোলা বাজার২৪ শুক্রবার, ১ জুলাই ২০১৬ মন্দিরে গরুর মাংস রেখে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছিল ভারতের হায়দরাবাদ থেকে আটক সন্দেহভাজন ১১ জঙ্গি। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। একইসঙ্গে সুযোগ বুঝে ভারতের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার ছক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমানদের অপহরণের ছকও কষা হয়েছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
এনআইএ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে তুরস্কে বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পর জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল ভারতে নাশকতা করার। আর এই নাশকতার প্রশ্নে প্রথমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোই ছিল মূল লক্ষ্য।
গোয়েন্দারা জানান, আটক ব্যক্তিরা হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে গরুর মাংস রেখে রমজানের সময় শহরজুড়ে দাঙ্গা বাধানোর ছক কষছিল। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানের মন্দিরগুলোর বেলায়ও একই পরিকল্পনা করেছিল।
গতকাল বুধবারের অভিযানে হায়দরাবাদ থেকে মুহাম্মদ ইলিয়াস ইয়াজদানি, মুহাম্মদ ইব্রাহিম ইয়াজদানি, হাবিব মুহাম্মদ, মুহাম্মদ ইরফান, আবদুল বিন আহমেদ আল মামুদি, সৈয়দ নিয়ামতুল্লা হুসেইনি, মুজফফর হুসেন রিজওয়ান, মুহাম্মদ আতাউল্লা রহমান, আবদুল কাদের মহসিন মেহমুদ, এ এম আজহার, মুহাম্মদ আরবাজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এঁদের প্রত্যেকের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এঁরা প্রত্যেকেই স্নাতক পাস এবং প্রকৌশলী। মূলত এঁরা সিরিয়া থেকে আসা নির্দেশের ভিত্তিতেই ভারতে নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
আটক জঙ্গিদের জেরার পর পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিরা সবাই নিজেদের ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবুবকর আল বাগদাদির অনুগামী বলে মনে করেন। এঁরা মূলত জুনুদ আল খলিফা এ হিন্দের সদস্য। এই সংগঠনটি আইএসের ভারতীয় শাখা। সিরিয়ার শীর্ষ স্তরের আইএস ভারতের হায়দরাবাদের এই গোষ্ঠীকে পরিচালনা করত।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এরা ভারতে বসে ‘মাল-ই-গনিমত’ (তোলা আদায়, মুক্তিপণ আদায়ের মতো নানা পরিকল্পনা করে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টায় ছিল)। সেই সঙ্গে সংগঠন যত দিন না মজবুত হতো তত দিন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বানচালের চেষ্টা চালাতেন ।