খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৭ আগস্ট ২০১৬: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির তথাকথিত ‘গো রক্ষা’ কমিটির সদস্যদের ‘সমাজবিরোধী শক্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন রাতের অপরাধ আড়াল করতে এসব দুর্বৃত্ত দিনের বেলা গো রক্ষার মুখোশ পরে। খবর এনডিটিভির।
ভারতে উগ্র হিন্দুদের নিয়ে গঠিত গো রক্ষা কমিটি সাম্প্রতিক সময়ে গরু জবাই বা গরুর মাংস বহনের দায়ে বহু লোককে নির্যাতন করেছে। মুসলিমদের পাশাপাশি দলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকরাও তাদের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পায়নি।
ক্ষমতা গ্রহণের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জনগণের সরাসরি প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘গরু রক্ষা ব্যবসায় জড়িতদের ওপর আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ। গরুভক্তি ভিন্ন জিনিস। গরু সেবাও ভিন্ন। আমি দেখেছি কিছু লোক সারারাত অপরাধ করে বেড়ায় আর দিনের বেলায় গরু রক্ষকের বেশ ধরে। এদেও বেশির ভাগই সমাজবিরোধী, যারা গরু রক্ষার মুখোশ পরে আছে।’
হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গরুর মাংস নিয়ে সহিংসতা দেখা গেলেও মোদি এক্ষেত্রে কার্যত নীরব থাকার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তবে দেশটির বহু শিক্ষাবিদ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও গরু নিয়ে ভারতীয়দের একাংশের অসহিষ্ণুতার কড়া সমালোচনা করেছে।
মোদি বলেন, তিনি বিভিন্ন রাজ্যকে তথাকথিত গরু রক্ষার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলবেন।
মৃত গরুর চামড়া খোলার অভিযোগে ১১ জুলাই মোদির রাজ্য গুজরাটে চার দলিতকে বিবস্ত্র করে পথে হাঁটায় গো রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাদের ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গুজরাটে দলিত সম্প্রদায় ব্যাপক আন্দোলন করে। গরুর মাংস রাখার মিথ্যা অভিযোগে গত বছর উত্তরপ্রদেশে এক প্রবীণ মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে গরু ররক্ষকরা।