Thu. Nov 13th, 2025
Advertisements

খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : সরকার যখন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে, তখনও দেখা যাচ্ছে সরকারের একজন উপসচিব নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে ফ্যাসিস্ট মোকতাদির এর ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন: “আমার শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক র আ ম উবায়দুল মোকতাদির স্যার, এমপি”।

সরকারী এই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ শওকত আলী (আইডি ১৫৮৮৮), উপসচিব (২৫ ব্যাচ)। ফ্যাসিস্ট সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার সাবেক পিএস র আ ম উবায়দুল মোকতাদির তাকে ২০২৪ সালের জুন মাসে তার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক এর পরিচালক হিসেবে প্রাইজ পোস্টিং এর ব্যবস্থা করেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের প্রধান ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও রাজউকে বহাল তবিয়তে আছে এই ফ্যাসিস্ট এর দোসর মোহাম্মদ শওকত আলী!

উল্লেখ্য তিনি মোকতাদির এর একনিষ্ঠ শিষ্য এবং ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তার ব্যাচের ও অন্যদের উপরে অবৈধভাবে প্রভাব খাটাত।
মোকতাদির এবং সায়েদুল হক এর শক্তি ব্যবহার করে তিনি প্রশাসনে ব্যাপক অনৈতিক প্রভাব বলয় তৈরি করে।

তার ফেইসবুকে মোকতাদির চৌধুরী, সায়েদুল হকসহ আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের গুণকীর্তন থাকতো।
ছাত্র আনদোলনে জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ৫ আগস্টের পর তার ফেইসবুক আইডি থেকে সব ডিলিট করে ফেললেও এখনও তার ফেইসবুক প্রোফাইলে মোকতাদিরকে তার অভিভাবক হিসেবে প্রচার করে যাচ্ছে।

এই মোহাম্মদ শওকত আলী সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাকি দিয়ে এখন নিয়মিত তার ২৫ ব্যাচ ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র মূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে তিনি প্রকাশ্যে ফ্যাসিস্টকে অভিভাবক হিসেবে ঘোষণা তার প্রমাণ।

সরকারি অনেক কর্মকর্তারা মনে করেন এখনই এই ফ্যাসিস্ট এর দোসর মোহাম্মদ শওকত আলীকে চাকরিচ্যুত করে তাকে আইনের আওতায় এনে ব্যপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেকষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কর্মকর্তা আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে সরকারী টাকায় জাপানে পিএইচডি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পিএইডি করতে ব্যর্থ হয়ে ৫ বছর পর ফেরত আসে। সরকারী বিধি-বিধান অনুযায়ী সমুদয় টাকা সরকারী তহবিলে ফেরত দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

এবিষয়ে ইআরডি’র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, এই টাকা জাপান ডেট ক্যান্সেলেশন ফান্ডের টাকা যা অব্যশই আদায় করতে হবে, অর্থাৎ মওকুফ করার কোন সুযোগ নেই।
কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সকল বিধি-বিধান উপেক্ষা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় হয়েছে এবং এই ফ্যাসিস্ট এর দোসরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
সরকারী তহবিল এভাবে তছরুপ করা সত্ত্বেও আইনের আওতায় না এনে বরং ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে প্রাইজ পোস্টিং দিয়েছে।

ফ্যাসিস্ট এআওয়ামীলীগের দোসর মোহাম্মদ শওকত আলীকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার সাবেক পিএস র আ ম উবায়দুল মোকতাদির রাজউকের পরিচালক হিসেবে গত জুলাই মাসে পদায়ন করিয়ে দেয়। এখনও সে বহাল তবিয়তে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে গভীরভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।