Thu. Oct 16th, 2025
Advertisements

60খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০১৫: চল্লিশ হাজার কোটি টাকা লোকসানের ভারে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটককে ‘নিজের পায়ে’ দাঁড় করাতে ‘রি-ব্র্যান্ডিং’ হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রি-ব্র্যান্ডিং’ এর অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে টেলিটক পাবে একটি করে কামরা।
জাতীয় পার্টির সদস্য ফিারোজ রশীদ চৌধুরী টেলিটকের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। সিম রেজিস্ট্রেশনই শুধু মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এইসব প্রতিষ্ঠানের দেখভাল করাও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।”
জবাবে তারানা হালিম বলেন, “মন্ত্রণালয় শুধু সিম নিবন্ধনই করছে না। টেলিটককে নিজের পায়ে দাঁড় করাতেও কাজ করছে।”
টেলিটকের ৩৯ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা লোকসানের তথ্য সংসদকে জানাতে গিয়ে তারানার কণ্ঠেও হতাশা ঝরে।
“সত্যিকার অর্থে হতাশ আমরাও। কেন এতোদিনেও টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে নাই?ৃটেলিটক যে লাভ করবে, সেটা দেশেই থাকবে।”
২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা টেলিটক সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়েও জিএসএম অপারেটরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গ্রাহকদের হাতে থাকা ১৩ কোটি ১৪ লাখ মোবাইল সিমের মধ্যে মাত্র ৪১ লাখ টেলিটকের।
আকর্ষণীয় কলরেট দিয়েও নেটওয়ার্কের দুর্বলতা এবং বিপণণের ব্যর্থতায় গ্রাহক পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
সাম্প্রতিক দক্ষিণ কোরিয়া সফরের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী তারানা সংসদে বলেন, সেখানে তিনি টেলিটকের উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ চাওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগের আহবানও জানিয়েছেন।
নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ কার্যকর হলে টেলিটকের ‘কানেকটিভিটি’ বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “টাওয়ার শেয়ারিং করতে পারলে আমরা টেলিটককে তৃণমূলে নিয়ে যেতে পারব।”
অন্য অপারেটরের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ চলছে জানিয়ে তারানা বলেন, আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব উপজেলা সদর ও মহাসড়ক থ্রি জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। গ্রামাঞ্চলেও টু জি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে।