খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৬: হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) ‘মশাল’ প্রতীক দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে এবার উকিল নোটিস পাঠিয়েছে দলটির অপর অংশ।
এ অংশের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দীন খান বাদল ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের পক্ষে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক রোববার এই উকিল নোটিস পাঠান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, “আমরা উকিল নোটিস পাঠিয়েছি। পাশাপশি মশাল নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত বতিলের দাবি জানিয়ে এসেছি।”
গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দুই ভাগ হয় জাসদ। হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতারের কমিটির পাশাপাশি কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল, শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হকপ্রধানের আলাদা কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।
দুই পক্ষই নিজেদের ‘মূল জাসদ’ দাবি করে দলীয় প্রতীক মশালের দাবি নিয়ে ইসির দ্বারস্থ হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল আলাদাভাবে দুই পক্ষের শুনানি করে ইসি। এরপর গত ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ইনু-শিরীনের জাসদকেই ‘মূল ধারা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এর ১২ দিনের মাথায় উকিল নোটিস পঠিয়ে ইনু-শিরীন নেতৃত্বাধীন জাসদকে মশাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বলেছে অপর অংশ। তা না হলে ‘যথাযথ আইনি ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি বাহাত্তরের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে ১৯৮০ সালের আইনসহ অন্যান্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো পক্ষকেই ‘মশাল’ প্রতীক না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে আম্বিয়া-বাদল-প্রধানের জাসদ।
ইসি তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর সমঝোতার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাতে কর্নেল তাহেরের স্ত্রী সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের বাড়িতে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন দুই পক্ষের নেতারা।
এরপরও কেন এই উকিল নোটিস জানতে চাইলে নুরুল আম্বিয়া বলেন, “আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই অংশের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, “১৩ এপ্রিল গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশকে মশাল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ইসি। ধারণা করছি, ইসি ওই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে যদি নেয়, তাহলে তা বাতিল চাওয়া হয়েছে নোটিসে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনি প্রতিকার চেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।