Sat. Oct 18th, 2025
Advertisements
Flag_of_Turkey.svgখোলা বাজার২৪,সোমবার,০৫ সেপ্টেম্বর  ২০১৬ঃ ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরে তুরস্কের প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকাস্থ তুর্কি দূতাবাসকে বাংলাদেশের হতাশার কথা জানিয়ে বলা হয়েছে- এ ধরনের প্রতিক্রিয়া একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিকাশে সহায়ক হবে না।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য এ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ বিচারের ফলে জাতির বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হবে, বিচার নিশ্চিত হবে, আইনের শাসন সমুন্নত হবে এবং সত্যের জয় হবে।
ঢাকাস্থ তুর্কি দূতাবাসকে দেয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কুখ্যাত আল-বদর বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার মীর কাসেম আলীর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে আল-বদর বাহিনী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে গণহত্যা চালায়।
দূতাবাসকে দেয়া প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে। কোন রাজনৈতি হস্তক্ষেপ ছাড়াই বিচার প্রক্রিয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশাধিকার ছিলো।
বিচার চলাকালে আদালতের প্রসিডিংস-এ আসামি পক্ষের আইনজীবীদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিলো। কোন রাজনৈতিক পরিচিতির ভিত্তিতে মীর কাসেম আলীর বিচার করা হয়নি। ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে তার বিচার করা হয়েছে।