Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

56খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস ও জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সদ্যপ্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মহাখালীর ডিওএইচএস মসজিদে হান্নান শাহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই জানাজায় আত্মীয়, পরিজন ছাড়াও অংশ নেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীরপ্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মো. ইব্রাহিমসহ বিশিষ্টজনরা।
মহাখালীতে জানাজা শেষে হান্নান শাহর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে অনুষ্ঠিত জানাজায় শরিক হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জানাজা শেষে হান্নান শাহর মরদেহবাহী কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে। বাদ জোহর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে আরেক দফা জানাজা।
আগামীকাল গাজীপুরে আরো দুটি জানাজা শেষে কাপাসিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে হান্নান শাহর লাশ।
হান্নান শাহর জানাজায় অংশ নেওয়া অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এক স্কুলের ছাত্র। তারপর একসঙ্গে বহু দিন রাজনীতি করেছি। আর উনি একজন অত্যন্ত সত্যবাদী, সাহসী, ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুক।’
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘একজন চৌকস অফিসার হিসেবে সামরিক বাহিনীতে উনার বেশ ভালো পরিচয় ছিল। রাজনীতিতে আমার মনে হয় উনি একজন অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন এবং উনি সত্যি কথা বলতেন সব সময়। উনার পরে যাঁরা আছেন, যাঁরা রাজনীতিতে আছেন, আশা করব যে তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন।’
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘রাজনীতিতে শূন্যতা হবেই হবে। কারণ উনি এত বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন এবং তিনি সময়ের কাণ্ডারী, সময়ের দিক নির্দেশনাকারী, সময়ের প্রতিবাদী। এরূপ কণ্ঠ আরেকটি পাইতে সময় লাগবে।’
গত মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের র্যাইফেল হার্ট সেন্টারে হান্নান শাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর অসুস্থ অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সী হান্নান শাহকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। সেখানকার নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ভর্তি হওয়ার দুদিন পর হান্নান শাহর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। পরে ১০ সেপ্টেম্বর আবার তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলেন চিকিৎসকরা।
হান্নান শাহ দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।