Tue. Aug 26th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬ :
সীমান্তে তুর্কি সেনাবাহিনীর ট্যাংক মোতায়েন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক ও ইরাক।

মঙ্গলবার তুরস্ককে রীতিমতো যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি।
বুধবার এর কড়া জবাব দিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ঘাঁটি ইরাকি শহর মসুল উদ্ধার অভিযান ঘিরে দেশ দুটির মধ্যে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে তুরস্ক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিরনাক’র সিলোপলি জেলার ইরাক সীমান্তে ট্যাংক এবং আর্টিলারি মোতায়েন করে। মসুল উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে বলে দাবি তুরস্কের।
কিন্তু তুরস্কের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বাগদাদ। তারা মসুল শহরের কাছে মোতায়েন করা সেনা প্রত্যাহারের জন্য বার বার দাবি জানিয়ে আসছে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইরাকে আগ্রাসন তুরস্ককে টুকরো টুকরো করে ফেলবে। তবে আমরা তুরস্কের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, সংঘাত চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংঘাত সৃষ্টি হলে আমরা এর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আমরা তুরস্ককে শত্রু মনে করি এবং শত্রু হিসেবেই বোঝাপড়া করবো।’
ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘তুরস্কের চেয়ে ইরাকিদের এমন শক্তিশালী কোনো সমর্থক নেই, যে ইরাকের অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা সুরক্ষা করতে চায়।’
নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় ইরাকের সামর্থ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যদি তোমার (ইরাক) সামর্থ থাকে, তাহলে শুরুতেই সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে মসুল রেখে কেন পালিয়েছ? পিকেকে সন্ত্রাসীরা কিভাবে বছরের পর বছর তোমার ভূমি দখল করে রেখেছে?’
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা আগেই তুর্কি কর্মকর্তারা বলেছিলেন। এখন সেই ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে।
এর আগে ইরাকে মোতায়েনকৃত তুর্কি সেনাদের প্রত্যাহার নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়িপ এরদোগান এবং ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি।