খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০১৬:
“জীব হত্যা মহাপাপ” কিন্তু মুসলিম হত্যা ‘মহাপূণ্য’ !
“অহিংস পরম ধর্ম” কিন্তু রোহিঙ্গা গণহত্যাও পরম ধর্ম !
“সংসার ধর্ম ত্যাগ কর” কিন্তু পৃথিবীর সব বৌদ্ধই সংসার করছে! বাস্তবতা হলো, মুসলিম নিধনে সবাই এক কাতারবদ্ধ! ঠিক এভাবেই কথা গুলো লিখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ ডক্টর তুহিন মালিক।
সম্প্রতি মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ব্যপক হত্যাযজ্ঞের পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়। যদিও মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনে বৌদ্ধদের হামলা নতুন নয়। সম্প্রতি এই পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘর সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
অপরদিকে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় কোনো অবস্থান নিতে না পারায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নোবেল কেড়ে নেওয়ার দাবি উঠেছে। এ দাবিতে অনলাইনে এক আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লক্ষাধিক মানুষ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয় বার্মা সরকার। কয়েকশ বছরের পিতৃভূমিতেই তাদের বলা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসী। নিজেদের দেশে তাঁরা বর্তমানে প্রবাসী। এদের রোহিঙ্গা বলতে নারাজ বার্মা সরকার এবং বার্মার বৌদ্ধরা। তারা এদের ডাকে বাঙালি বলে। সে থেকেই বার্মায় মুসলিমদের গণহত্যা চলে আসছে। প্রায়ই রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি কখনো সরকার, কখনো স্থানীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক বৌদ্ধরা আবার কখনো উভয়পক্ষ মুসলিম নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পর্যন্ত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলিম এর ঘড় বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। যেই হত্যাযজ্ঞ এখনো চলমান। ‘বৌদ্ধ অহিংস ধর্ম এবং জীব হত্যা মহাপাপ’ হলে এই হত্যাযজ্ঞ কেন? এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে এখন।