Sun. Oct 19th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪,বুধবার ০২ডিসেম্বর ২০২০: ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্যাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় সাত আসামির মৃত‌্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ মিঞা বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন গুলজার হোসেন, আসিফ, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর ও রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরো বলেন, রায়ে বিচারক আতিক উল্যাহকে খুনের পর লাশ গুমের অভিযোগে এ সাতজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত‌্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাঁদের আরো এক বছরের সশ্রম কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শম্পা নামের এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

এদিকে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জাহাঙ্গীর খাঁ ও আহসানুল কবির ইমন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপর পাঁচ আসামি পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের পর থেকে দণ্ড কার্যকর করা হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্যাহ চৌধুরী নিখোঁজ হন। এর পরের দিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় তাঁর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের পরে এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

এ ঘটনায় সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।