Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। প্রফেসর ইউনুস ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছেন। আজ অবিলম্বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর ও পবিত্র মাহে রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন এর সভাপতিত্বে ও ওসমান কোরাইশীর পরিচালনা করেন। আর অমনি একটি দল স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে এনেছেন। কিন্তু কেন ভাই, আপনারা কেন স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন ? আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন ? নতুন করে আবার ষড়যন্ত্র কেন? আপনাদের এ আচরণের মধ্য দিয়ে কিসের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে টিকতে পারে নাই। তাদের লজ্জাজনকভাবে পতন হয়েছে। ভবিষ্যতে আপনাদের অবস্থাও এরকমই হবে। আপনারা বিএনপির সাথে হাত মিলিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে আপনারা ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন। তারপরও আপনাদের ভিতর থেকে ষড়যন্ত্র যায় না। ষড়যন্ত্র করে কেউ পার পায়নি, আপনারাও পার পাবেন না।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, দৈনিক খোলা বাজার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ও গনতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশ এর সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম, এস এম মিজানুর রহমান, মাওলানা আলমগীর হোসেন, কালাম ফয়েজী, গনতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশ এর প্রচার সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ, রমিজ উদ্দিন রুমী, ইব্রাহিম হোসাইন, প্রমুখ।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন বিএনপিকে আন্ডারমাইন্ড করবেন না। নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা সংস্কার অব্যাহত রাখবে। আমরা যে মানসিকতা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম শেখ মুজিব প্রথম তার উপর আঘাত হানে। শেখ হাসিনা পুরো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ধ্বংস করে দেন। আমরা আজকের এই পবিত্র দিনে কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতে চাই না। অথচ আপনারা যে কর্মকন্ড করছেন তাতে কোন সমলোচনা না করে উপায় নেই। দেশের মানুষকে মূল্যায়ন করতে শিখুন, তারা কি চায় সেদিকে নজর রাখুন। দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলনের ফসল এই সরকার, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে কত মানুষ জীবন দিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করছে অসংখ্য মানুষ। যারা আহত হয়েছে তাদের সহযোগিতা করার ওয়াদা দেয়া থাকলেও চিকিৎসার দাবীতে তাদের আন্দোলন করতে হয়, এটা খুব বেদনাদায়ক। গত তিন-চারটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি। সে তিনজন চীফ কমিশনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করতে পারেননি। সে তিন নির্বাচনে নয়শত জন এমপি নির্বাচিত হলো, তাদের মাত্র কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে, অন্যরা সবাই কিভাবে পালিয়ে গেল ? কেন আপনারা তাদের গ্রেফতার করলেন না এবং কেন শাস্তি নিশ্চিত করতে পারছেন না ?
তিনি দ্রব্য মূল্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, সামনে রমজান মাস এই রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় থাকা বাঞ্চনীয়। অথচ এখনও নিত্যপণ্যের দামের উর্দ্ধগতি অব্যাহত আছে। স্বৈরাচার আমলে যে সিন্ডিকেট ছিল সে সিন্ডিকেট এখনও বহাল আছে। একইভাবে বহাল আছে স্বৈরাচারী হাসিনার প্রেতাত্মারা। তারা সচিবালয় বসে ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত আছে। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি থেকে চাঁদা তুলে সেই চাঁদার টাকা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। সরকারের উচিত সেদিকে নজর দেয়া।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ বলেন, পবিত্র রমজান মাস শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। অথচ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোন ব্যবস্থা নেই। দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে এনে নিত্যপণ্যকে সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসুন এবং তাদের সুখ শান্তি নিশ্চিত করুন।