Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিকিৎসা এখনই শেষ হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হওয়া রোগের জন্য তাকে দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা নিতে হবে। আপাতত চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে গেলেও শুরু হওয়া চিকিৎসার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তাকে বারবার এ হাসপাতালেই ফিরে আসতে হবে। তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এমনই অভিমত দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত কর্নেল হসপিটালের (নিউ ইয়র্ক প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যান্ড ওয়াইল কর্নেল মেডিক্যাল সেন্টার) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে যান সিংগাপুরে। কিন্তু সেখানকার হাসপাতালগুলোতে তার রোগের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না হওয়ায় গত ১১ই আগস্ট তিনি সস্ত্রীক সিংগাপুর থেকে সোজা যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। এরপর গত দুসপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্কের কর্নেল হাসপাতালে তার রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি বাইলেটারল ইনটার্নাল ক্যারোটিড আর্টারি স্টেনোসিস নামের গুরুতর রোগে ভুগছেন, যার ফলে তার হৃৎপি- থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের দুটি ধমনিই প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। প্রধানত অত্যধিক মানসিক চাপজনিত সমস্যা থেকে এমন রোগের উদ্ভব হয়। এ রোগের জন্য এখানকার চিকিৎসকগণ প্রথমে অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কারণে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্নেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।

নিউ ইয়র্কে মির্জা আলমগীরের অবস্থান ও চিকিৎসার সবকিছু তদারাকি করছেন গত এক বছর ধরে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য এখানে অবস্থান নেয়া বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। তিনি নিয়মিতভাবে মির্জা আলমগীরের সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া-আসা করছেন, তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। তবে মির্জা আলমগীর এখানে সব রকমের রাজনৈতিক কর্মকা- থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ তার সঙ্গে মাঝে-মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করলেও তা স্রেফ শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। প্রথম দফা চিকিৎসা শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, সে ব্যাপারে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানাতে পারেনি।