খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে অর্থমন্ত্রীকে মাফ চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ড. এমাজউদ্দীন বলেন, ভুল শুধরে নিন। শিক্ষকদের নিয়ে বাজে কথা বলার জন্য মাফ চেয়েছেন। এবার বাজে কাজ (ভ্যাট) প্রত্যাহার করে মাফ চান।
‘দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৪ বছর পরও ৩৯ শতাংশ লোক এখনও অশিক্ষিত’- এ তথ্য তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট নেই। এশিয়ার অন্য দেশগুলো শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে। ওখানকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিতে অর্থ লাগে না।
শিক্ষাক্ষাতে ইতিহাস গড়ার মতো বাজেট হওয়া উচিৎ মন্তব্য করে প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। দেশের ৬৫-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয় না সরকার। তাহলে কেন ভ্যাট বসাবেন?
এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো প্রসঙ্গেও কথা বলেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, মাত্র ২১ লাখ লোকের বেতন বৃদ্ধি করে ১৬ কোটি মানুষকে সমস্যায় ফেলেছেন।
সংগঠনের সভাপতি শামা ওবায়েদ ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নীতাই রায় চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন প্রমুখ।