খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে ১৭ ওভারে ৬৮/৩; বাংলাদেশ: ২৪১/৯।
আরাফাত সানি, মাশরাফি বিন মুর্তজার পর আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসার ফিরিয়ে দিয়েছেন শন উইলিয়ামসকে। নাসির হোসেনের ভালো একটি ক্যাচে আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন আরাফাত সানি। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন রেগিস চাকাভা।
মুস্তাফিজুর রহমানের ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকানো চামু চিবাবাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান চিবাবা।
এর আগে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েসের অর্ধশতকে জিম্বাবুয়েকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪১ রান করে বাংলাদেশ।
ইমরুলের সঙ্গে তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটি স্থায়ী হয় ৭ ওভার। এই সময়ে ৩০ রান তুলেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। থিতু হয়ে ফিরে যান তামিম। টিনাশে পানিয়াঙ্গারার বলে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তিনি।
আগের ম্যাচে ইনিংস উদ্বোধন করা লিটন দাস এই ম্যাচে নামেন তিনে। এক ছক্কাসহ ৭ রান করেন ফিরে যান তিনি। পানিয়াঙ্গারার অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে চেয়েছিলেন লিটন। ঠিক মতো পারেননি, বল ব্যাটের কানায় লেগে চাকাভার গ্লাভসে জমা পড়ে।
লিটনের মতো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদউল্লাহও। আগের ম্যাচে ৯ রান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফিরেছেন ৪ রান করে। লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তিনি।
৭৯ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে ইমরুল ও আগের ম্যাচে শতক করা মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙে মুশফিকের বিদায়ে।
শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করা মুশফিক ফিরে যান ক্রেমারের বলে লুক জংউইকে ক্যাচ দিয়ে। এগিয়ে এসে কাভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ উঠে যায়।
সাকিব আল হাসানের জায়গায় একাদশে আসা ইমরুল খেলছিলেন দারুণ। ৮৯ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে রেখেছিলেন তিনিই। দুই রানে একবার জীবন পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে যান ৭৬ রান করে।
শন উইলিয়ামসের আগের বলে এগিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইমরুল। পরের বলে এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে আবার উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন তিনি। এবার ফুলটস বলে ক্রেমারের হাতে ধরা পড়েন গত বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলা ইমরুল।
গত বছর মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে অর্ধশতক পেয়েছিলেন ইমরুল। তার পরের সাত ইনিংসে একবারও দুই অঙ্কে যেতে পারেননি ইমরুল। এবার পেলেন ক্যারিয়ারের একাদশ ওয়ানডে অর্ধশতক।
৩২তম ওভারে ১৫১ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল শেষ দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেনের দিকে। ৪২ রানের এক জুটিতে তারা দলকে দুইশ’ রানের দিকে এগিয়ে নেন।
জংউইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে চাকাভাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাব্বির। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফিরে যান ৩৩ রান করে।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ক্রিজে আসেন ৪২তম ওভারে। নাসিরের সঙ্গে ৫.৫ ওভারে ৩৮ রানের কার্যকর একটি জুটি গড়েন তিনি। পরের ওভারে ফিরে যান নাসিরও। পানিয়াঙ্গারার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর আর বেশিদূর এগোয়নি বাংলাদেশের ইনিংস।
৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলার পেসার পানিয়াঙ্গারা।