খোলা বাজার২৪,বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫: রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে নিবার্চনের ঘোষণা দিয়েছেন বড় দুই দলের মনোনয়ন বঞ্চিত দুই প্রার্থী। এ কারণে চরম বেকায়দায় রয়েছেন নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীরা। পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য মেয়র পদে মোট ৯জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও জমা দিয়েছেন মাত্র ৭ জন প্রার্থী নিবার্চনে অংশগ্রহনের জন্য নিবার্চন রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা প্রদানকারী ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ৪ জন, জামায়াত নেতা ১ জন ও স্বতন্ত্র হিসেবে দুই জন।
আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান নারী মেয়র নার্গিছ খাতুন, বিএনপি থেকে সাবেক ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম বিকুল, জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম। মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিল্পব ও পৌর বিএনপির সভাপতি কায়েম উদ্দিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ছাব্বির হোসেন ও আনিসুর রহমান রাসেল। তবে জামায়াত নেতা প্রত্যাহারের শেষ দিন সাইফুল ইসলাম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় দুইটি দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন উভয় দলীয় প্রার্থীরা।
একটি সূত্রে জানা গেছে, তিন মেয়র প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য দলীয় জোট ও দলীয়ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশ অমান্য করে যে সকল প্রার্থী স্বতন্তভাবে নির্বাচন করবে তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহত দেয়া হবে। এই দুই প্রার্থী হচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বিল্পব ও পৌর বিএনপির সভাপতি কায়েম উদ্দিন ও বিএনপি সর্মথক ছাব্বির হোসেন। পৌর এলাকার মিয়াপুর ও চারঘাট ৬ নং ওয়ার্ডে পিন্টু, হাসান বলেন, তৃনমুলের দলীয় কর্মী, সর্মথক ও সাধারন ভোটারেরা ব্যক্তিগত সর্মথন দিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। কারণ মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত প্রার্থীদের পৌর এলাকায় কিছু না কিছু ব্যক্তি ইমেজ প্রাপ্ত ভোটগুলোই দলীয় মনোনীত প্রাথীর জন্য বড় একটি প্রভাব পড়তে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য বর্তমান মেয়র নার্গিছ খাতুনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দলীয় সিন্ধান্তের বাইরে কোনো দলীয় নেতা নির্বাচনে স্বতন্ত প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করলে সে ব্যক্তিকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নিবাহী সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুলকে মনোনয়ন দিয়েছে। তবে কেউ যদি কেন্দ্রীয় কমিটির সিন্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন অংশগ্রহন করে তাহলে দলীয় সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি কায়েম উদ্দিন কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যাহরের ও বহিস্কারের চিঠি পায়নি। তবে নির্বাচন করার শতভাগ নিশ্চিত করেন। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর পর নির্বাচনী মাঠে পোষ্টার চারঘাট বাজারসহ আশে পাশে পোষ্ঠারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। নেতাকর্মীরা ও প্রার্থীদের মাঝে বইছে আনন্দ উল্লাস। আগামী ৩০ ডিসেম্বর চারঘাট পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অফিস সব ধরনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন।