Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

30খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬: পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে নতুন রেলওয়ে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর সভায়। আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগর এনইইসি সম্মেলন কক্ষে বিশাল ব্যয়ের এই প্রকল্পটি একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের আওতায় রাজধানী থেকে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে যশোর পযর্ন্ত নতুন ব্রড গেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে ১৬৯ কিলোমিটার। লুপ সাইডিংস এবং ডাবল লাইনসহ মোট ট্র্যাক হবে ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ নির্মাণের জন্য মোট দৈর্ঘ্যকে চারটি সেকশনে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম সেকশন ঢাকা থেকে গেন্ডারিয়া, দ্বিতীয় সেকশন গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া, তৃতীয় সেকশন মাওয়া-ভাঙ্গা এবং চতুর্থ সেকশন ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোর পযর্ন্ত। সেই লক্ষ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৯ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাকি চীন সরকার জি-টু-জি পদ্ধতিতে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে। বিদ্যমান ঢাকা-যশোর রুটের দৈর্ঘ্য কমানোর মাধ্যমে যাত্রা সময় কমিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেলওয়ে করিডোর নির্মাণ করা হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন রেলপথটি মতিঝিল, সবুজবাগ, সূত্রাপুর, ডেমরা, কেরানীগঞ্জ, ফতুল্লা, সিরাজদীখান, শ্রীনগর লৌহজং, জাজিরায় মিলবে। এর পর শিবচর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা, সালথা, গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর ও কাশিয়ানিতে একটি নতুন রুট নির্মাণ হবে। নড়াইল সদর, লোহাগড়া হয়ে সর্বশেষ যশোর সদর ও বাগপাড়ায় রেলপথটি সমাপ্তি টানবে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ রুটে কন্টেইনার চলাচলের ক্ষেত্রে জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ফ্রেইট, ব্রডগেজ কন্টেইনার টেনসমূহ প্রয়োজনীয় স্পিড ও লোড ক্যাপাসিটি চালু করা হবে। যাতে করে বাংলাদেশ ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ-রুট নির্মিত হয়। ভবিষ্যতে এই রুটে দ্বিতীয় লাইন নির্মাণ এবং বরিশাল ও পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরকে এই রুটে সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সহসাই ঢাকা থেকে রেলে যাতায়াত করতে পারবেন বরিশালবাসীরাও।