খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। তিনি আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াছের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করবে, সরকার সব সময় এমনটাই আশা করে থাকে। তবে অবাধ স্বাধীনতা ভোগের সুযোগে কোনো কোনো পত্রিকা জনহিতকর ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশের পরিবর্তে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করে থাকে, যা হলুদ সাংবাদিকতার নামান্তর। তিনি আরও বলেন, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট হলুদ সাংবাদিকতা রোধে কাজ করছে। পিআইবি হলুদ সাংবাদিকতা রোধের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সচেতন করতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে এই বিষয়ে একটি সেশন পরিচালনা করে থাকে। এ ছাড়া হলুদ সাংবাদিকতার প্রবণতা ও প্রকরণ বিষয়ে পিআইবির একটি গবেষণা কার্যক্রম ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন আকারে এটি প্রকাশিত হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতা রোধের ক্ষেত্রে প্রতিবেদনটি অনুঘটক (ক্যাটালিস্ট) হিসেবে কাজ করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিবেদকেরা যাতে সংবাদ প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে মানদণ্ড অনুসরণ করতে পারেন, সে জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ‘এথিকস অব জার্নালিজম’ শিরোনামে সেশন পরিচালনা করে থাকে। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলুদ সাংবাদিকতা রোধে সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভারও আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল হলুদ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে অথবা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমলে নিতে পারে। প্রকাশিত সংবাদ হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে দোষী বিবেচিত হলে প্রেস কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, সম্পাদক ও সাংবাদিককে সতর্ক, ভর্ৎসনা ও তিরস্কার করে মামলার রায় দিতে পারে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় অনুরূপ রায় প্রকাশ করার নির্দেশনাও প্রদান করতে পারে।
তথ্য অধিদপ্তর অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যমকে নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে সংসদে জানান তথ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া তথ্য অধিদপ্তর হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িত সাংবাদিকদের নামে ইস্যুকৃত অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে থাকে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আইন, ১৯৭৪’-কে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশোধন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।