খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে আর কোথাও মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না। তিনি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচনে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ আর না খেয়ে থাকবে না, রোগে ভুগে মানুষ মারা যাবে না।
‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’- এ স্লোগানে হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বুধবার কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন পর্যায়ে দরিদ্র পরিবারের জন্য ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ উদ্বোধনের পর সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।
মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই পাঁচ মাস হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারীদের এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ঠিক করে তাদের কার্ড দেবে। কমিটিতে জনপ্রতিনিধিরাও আছেন।
সরকারের এই কর্মসূচির আওতায় মন্দা মওসুমে সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা দরে চাল সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, হতদরিদ্র লোকদের জন্য বিশেষ কার্ড ইস্যু করা হবে। প্রতি মাসে কার্ডধারী প্রতি পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
প্রতি বছরে পাঁচ মাস- মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে এই চাল দেয়া হবে।
এ বছরে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পযর্ন্ত এই চাল বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সমাজে দরিদ্র নারীপ্রধান পরিবার, বিধবা পরিবার, তালাকপ্রাপ্ত পরিবার এবং দরিদ্র পরিবার এই খাদ্য সহায়তা পাবে।
উপজেলা পর্যায়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি এই সুবিধা প্রাপ্তিদের একটি তালিকা তৈরি করবে। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে গঠিত অপর একটি কমিটি এই তালিকা চূড়ান্ত করবে।
এই কর্মসূচি পরিচালনার জন্য এলাকায় সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতি পাঁচশ’ পরিবারের জন্য একজন করে ডিলার থাকবেন। মনোনয়ন কমিটির দেয়া তালিকা অনুযায়ী ডিলার তাদের কাছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় করবে।