
জানা যায়, সংস্থার পরিচালক এনামুল বাছিরের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল অভিযান চালিয়ে সফিক-উর-রহমানকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে আরও ছিলেন দুদকের দুই উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম ও আহমেরুজ্জামান।
আরো জানা যায়, কোস্ট গার্ডের প্রায় ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম দুর্নীতির মাধ্যমে বিক্রি করে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে সফিক-উর-রহমান। এ অভিযোগে ১৯৯৮ সালে সফিক-উর-রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কোস্ট গার্ডের অনুকূলে ১১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়। নিয়মানুযায়ী ওই গম বিক্রির সুযোগ ছিল না। কিন্তু কোস্ট গার্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক সফিক-উর-রহমান ওই গম বিক্রির জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি কতগুলো ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশন নিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো পাঁচ টাকা কেজি দরে গম বিক্রি করে। অথচ ওই সময় গমের বাজারমূল্য ছিল প্রতি কেজি ১১ টাকা ৬৪ পয়সা। এভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাত কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে ওই মামলার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন সফিক-উর-রহমান। রিটের নিষ্পত্তি হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত।