Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭: দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালে এখন পর্যন্ত সমর্থন নেই বিএনপির। আজ বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, জামায়াতের হরতালে বিএনপির সমর্থন আছে কি না? জবাবে রিজভী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ইয়ে (সমর্থন করার নির্দেশনা) আসেনি। এর আগে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের নেতাদের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন। এ পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি ছিল এটাই, এর বাইরে কিছু নেই।’

রিজভী অভিযোগ করেছেন, আজ সারা দেশে পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশে গুলি, লাঠিপেটা ও হামলা চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের ‘সন্ত্রাসীরা’ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। আজ সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১৭০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের ছোড়া গুলি এবং লাঠিপেটায় সারা দেশে অন্তত ২৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আর বেশি দিন নেই, তার আগে তারা এখন মরণকামড় দেওয়া শুরু করেছে। এসব করে কোনো কাজ হবে না। বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে।

চারদিকে সরকারের বিদায়ের সুর বাজছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এখন আরও বেশি উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে এখন সর্বোচ্চ আদালতকে কবজায় নিতে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা যে ‘সন্ত্রাসী’ তাণ্ডব চালিয়েছে, তা দেখে দেশবাসী শুধু হতবাক নয়, শঙ্কিত। সারা দেশ আজ নজিরবিহীন সন্ত্রাসে ক্ষতবিক্ষত।

সারা দেশে বিক্ষোভে যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের সবাই ছাত্রদল কিংবা অন্য দলের নেতা-কর্মী। তাহলে বিএনপির কতজন নেতা আটক হয়েছেন—সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির নেতারা যেখানে ফাঁকা পেয়েছেন এবং নিরাপদ মনে করেছেন, সেখানে বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশের কারণে অনেকে বিক্ষোভ করতে পারেননি। পুলিশ অনেকের বাড়িতে গিয়েও হয়রানি করেছে। সরকার যেমন নিপীড়নই করুক না কেন, বিএনপি তাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

১৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ এবং দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে আদালতের পরোয়ানা জারির ফলে বিএনপির দলীয় কার্যক্রম কী—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, এসব বিষয় আজকের সংবাদ সম্মেলনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যখন এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে, তখন এসব বিষয়ের উত্তর দেওয়া হবে।

বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নয় নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দল কী করেছে—এ প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামায়াতের নেতাদের মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন। এ পর্যন্ত বিএনপির কর্মসূচি ছিল, এর বাইরে কিছু নেই বলে জানান তিনি।