ছেলের এমন বিজয়ে গর্বিত পিতা ইদ্রিস হাওলাদার। নূরের বাবা বলেন, ‘ছেলের বিজয়ে আমার এলাকার সর্বস্তরের জনগণ খুব খুশি। এ বিজয় আপনাদের সকলের। আমার ছেলে ভবিষ্যতে যাতে বড় কিছু হতে পারে তার জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।’
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চরবিশ্বাস গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে নূর ৫ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে মেঝো। মাত্র ৬ বছর বয়সে মা নিলুফা বেগমকে হারান।
নুরুলের বড় ভাই নুরুজ্জামান ও ছোট ভাই আমিনুল ঢাকা উত্তরা এলাকায় মুদি মনোহরী ও গেঞ্জি বিক্রির ব্যবসা করে। তার ৫ বোনের মধ্যে তিন বোন বিবাহিত। বাকি দুই বোন মধ্যে সীমা আক্তার দশমিনা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে এবং ইতি আক্তার চর বিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
নুরুল ২০১০ সালে গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর গোলাম নবী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪.৯২ ফলাফল অর্জন করে এবং ২০১২ সালে ঢাকা উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন একই ফলাফল অর্জন করে।
এরপর ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ইংরেজি বিভাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুযোগ পায়।
২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল-রাশেদ-ফারুক প্যানেলে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছাত্রলীগ সভাপতি ও ডাকসুর ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে পরাজিত করেন।
নুরুল মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি।