Sun. Oct 19th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ঃ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও সংঘাতের মধ্যে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভেবে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল ভারতীয় এমআই-১৭ হেলিকপ্টার!

ওই ঘটনায় ৬ জওয়ান ও এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলো তখন। গত দুই মাস ধরে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হতে এখনও ২০ দিন সময় লাগবে। কিন্তু এরইমধ্যে গণমাধ্যমে ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার অফিসার কম্যান্ডিং (এওসি)। তার বিরুদ্ধে বিমানবাহিনীর আইন অনুযায়ী অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হতে পারে।

জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা পদক্ষেপে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। পাল্টা জবাবে ২৭ ফেব্রিয়ারি নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ একঝাঁক যুদ্ধবিমান।

ওই যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করতে গিয়ে আইএফএফ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ভুলবশত শত্রুপক্ষের বিমান ভেবে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ধ্বংস হয় এমআই-১৭ সামরিক হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারটি ছিলো রাশিয়ায় তৈরি বিমানবাহিনীর, আর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি হলো ইসরাইলের তৈরি।

ইএফএফ ব্যবস্থা হল, আকাশে উড়ে আসা কোনো বিমান বা হেলিকপ্টারকে সংকেত পাঠালে সেই বিমান বা হেলিকপ্টারটিও তার উত্তরে একটি সংকেত পাঠায়। যার মধ্যদিয়ে জানা যায়, সেটি শত্রুপক্ষের বিমান নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন ওই হেলিকপ্টারটি সংকেত ফেরত পাঠায়নি কিংবা তাদের সংকেত পাঠানোর যন্ত্রটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্তকারী দল শ্রীনগর বিমানঘাঁটির ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে।