খােলাবাজার ২৪,বুধবার ,১৭জুলাই,২০১৯ঃ জাত-পাত, ধর্মের বিভেদ মানে না প্রেম। প্রেমের জন্য যুগে যুগে জীবন বাজি রেখেছে, সর্বস্ব ত্যাগ করেছে এমন মানুষের সংখ্যা কম না। আবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার ঘটনাও অহরহই ঘটছে। তেমনই ঘটনা সামনে এসেছে এবার। জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় শাহনাজ পারভিনের সঙ্গে যুবক সাইফুলের গভীর প্রেম গড়ায় বিয়েতে।
তবে সাইফুলের প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া প্রেমিকা শাহনাজ পারভিন হিজড়াকে এ জন্য দিতে হলো চরম মূল্য। সাইফুলকে জীবনসঙ্গী করতে পারভীন যখন পাগলপ্রায়, তখনই সাইফুল বলল, সাড়ে ৪ লাখ টাকা পেলেই কেবল সে বিয়েতে রাজি হবে।
তৃতীয় লিঙ্গের পারভীন এত টাকা কোথায় পাবে? কিন্তু ওই যে বললাম, প্রেমের সামনে কোনো বাধাই বাধা নয়। পারভীন তাই মনের মানুষকে কাছে পেতে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিলেন নিজের কিডনি। তার থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা তুলে দিল সাইফুলের হাতে। বিনিময়ে বিয়ে হলো, পেলেন স্বীকৃতি। কিন্তু ভালোবাসার তুলনায় যার কাছে টাকাই সব, সে কি আর এই অসম বিয়ে টিকিয়ে রাখবে? টিকলো না। দু’জনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে ভেঙে গেল বিয়ে। কিডনি, টাকা সবই গেল পারভীনের। অপরাধ একটাই, পারভীন একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড় ভাকৈর ইউনিয়নের হরিনগর ও বাগাউড়া গ্রামে সমালোচনার ঝড় বইছে। ১০ জুলাই ইউনিয়ন অফিসে ইউপি চেয়ারম্যান আশিক মিয়ার নেতৃত্বে এ ব্যাপারে এক সালিস বৈঠক হয়।
এলাকাবাসী জানায়, হিজড়ার সাথে যুবকের বিয়ের খবরে নবীগঞ্জ উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে বুধবার সকালে বড়ভাকৈর ইউনিয়ন পরিষদে সালিস বসে। ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শাহনাজ পারভিনকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিনিময়ে রফাদফা করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।