খােলাবাজার ২৪, শনিবার ,২০জুলাই,২০১৯ঃ মার্কিন নারী সারলেট ও তাঁর স্বামী সোহেল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোচিত সংবাদ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সারলেট আর বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের সোহেল হোসাইনের বিয়ের খবর। তবে এই দম্পতিই শুধু আলোচিত সংবাদে পরিণত হয়েছেন তা নয়, এর আগেও একাধিক দম্পতি আলোচনায় এসেছেন।
বিভিন্ন দেশ থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করার পর এ বিয়ে কত দিন টিকবে, মেয়ে কত দিন পর দেশে ফিরে যাবেন, এ ধরনের আলোচনার শেষ নেই।বউ হয়ে আসা সব নারী ভালো আছেন, তা বলার উপায় নেই। কেউ কেউ চরম প্রতারণার শিকারও হয়েছেন, তা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের সোহেল জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগের পর ২০১৬ সালের জুন মাসে সারলেট বাংলাদেশে এলে তাঁরা বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁর পরিবার তখন ওই বিয়ে মেনে নেয়নি। সারলেট তখন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এবার সবাইকে মানিয়ে তাঁর পরিবারের কাছে এসেছেন সারলেট। মার্কিন নববধূকে দেখতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ ভিড় করায় নিরাপত্তার কারণে সোহেল স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় একটি হোটেলে উঠতে বাধ্য হন।
শুধু এ দম্পতি নন, এ ধরনের বিয়ে করা প্রায় প্রত্যেক দম্পতিকেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। পরিবারকে রাজি করাতেই লেগে যায় কয়েক বছর।
চলতি বছরের জুন মাসে নেত্রকোনার কলমাকান্দার গুতুরা বাজারের জসিম উদ্দিন আর চীনা নাগরিক ইবনাত মরিয়ম ফাইজার বিবাহোত্তর বউভাতের আয়োজন করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আজাদের বাড়িতে। তাঁদের বিয়ে হয় দুবাইয়ে। চাকরিসূত্রে ফাইজা ও জসিমের পরিচয় দুবাইয়ের একটি শপিং মলে। এই দম্পতি বর্তমানে চীনে আছেন, সেখানে চীনের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে বলে জানালেন জসিম উদ্দিনের ভাই ওয়াসিম আকরাম। জানালেন, এই বিয়েতে মা–বাবাসহ পরিবারের অন্যদের রাজি করাতে তাঁর ভাই তিন থেকে চার বছর ধরে চেষ্টা করছিলেন। ইবনাত মরিয়ম ফাইজা নিজের ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হন। এই দম্পতি এখন ভালো আছেন, সুখে আছেন বলে জানালেন ওয়াসিম। নতুন বউ কাজ চালানোর মতো বাংলা বলতে পারেন।
২০১৭ সালের মে মাস। নাটোরের আদালতে বিয়ে করে দম্পতি হলেন থাইল্যান্ডের সুপুত্তো ওরফে ওম ওরফে সুফিয়া খাতুন এবং বাংলাদেশের অনিক খান। কনের বয়স বেশি। এই কনে ছেলের পরিবারের বিয়ের সমর্থন আদায়ে অনশন করেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে অবশেষে বিয়ে হয়।