খােলাবাজার ২৪, বুধবার,২৪জুলাই,২০১৯ঃগাজী আবুলকালাম, পিরোজপুর, প্রতিনিধিঃ ইন্দুরকানী উপজেলা ভ’মি অফিস বছরের পর বছর এসিল্যান্ড শুন্য জন ভোগান্তি চরমে। ২০০২ সালে ইন্দুরকানী উপজেলার কার্যক্রম শুরুহলেও আজ পর্যন্ত কোন একজন এসিলন্ড ভারমুক্ত পাওয়া যায়নি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ জন ভুমি অফিসার দ্বায়ীত্বে ছিলেন এই উপজেলায় এর মধ্যে ২১ জনই ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।এই উপজেলায় মাত্র ২ জন ভুমি অফিসার এসেছিল পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে তারা কেহই দু এক মাসের বেশি সময় থাকেনি তাই এসিলান্ডের কাজকর্ম উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন সারতেন। ভুমি অফিসের কাজের গতি খুবই ধীর, এই উপজেলার সাধারণ মানুষ পরেছে ভোগান্তিতে ভুমি অফিসের কোন কাজের জন্য এলে অপেক্ষাছারা পথনেই কবে আসবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার পরে কাজ।
পিরোজপুর জেলার ৭ টি উপজেলার ৬টিতে এসিল্যান্ড আছেন কিন্তু র্দুভাগ্য ইন্দুরকানী উপজেলার। এখানে এসিল্যান্ড সহ অনেক অফিসারই ভারপ্রাপ্ত ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, তাই প্রশাসনের কজের গতি ধীরগতে চলছে। বর্তমানে এই উপজেলার ১৭ টি টিপ্তরের ৯ টিই ভারপ্রাপ্ত ও অতিরিক্ত আফিসার দিয়ে চলছে সাধারণ জনগন পরেছে ভোগান্তিতে। প্রায় দু মাস হল উপজেলা নির্বাহী অফিসারওনেই এই উপজেলায় ভান্ডারিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম অতিরোক্ত দায়িত্বে আছেন। এছারা খাদ্য, পরিবার পরিকল্পনা, বি আরডিবি, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ অনেক দপ্তর চলছে অতিরিক্ত আর ভারপ্রাপ্তা অফিসার দিয়ে এর ফলে দৈনন্দিন কাজ চরম ভাবে ব্যবহাত হচ্ছে। ইন্দুরকানী উপজেলায় এরকম কিছু দপ্তর আছে যেখানে অফিস সহকারি নিজেই অফিস চালাচ্ছেন। জনসাধারণের দাবি অচিরেই ইন্দুরকানী উপজেলাকে অতিরোক্ত আর ভারপ্রাপ্তর অভিষাপ থেকে মুক্ত করবেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যডঃ এম, মতিউর বলেন আমাদের উপজেলায় বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অফিসার দিয়ে প্রশাসনের কাজের গতি কমে যাচ্ছে,এখানে পর্যাপ্ত আবাসিক সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বে অনেক অফিসার থাকতে চাননা,বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে অফিস করায় ঠিক সময় মত অফিসে আসতে পারেন না, আমরা আশা করি খুব শিগ্রই এই উপজেলায় চাহিদা মত অফিসার পাওয়া যাবে এবং প্রশাসনিক কাজেরগতী ফিরে আসবে।