পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আসেন ১১ দিন আগে। আর দুজন আসেন আট দিন আগে। তাদেরকে বিচ্ছিন্নভাবে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও কেউ যাতে চীনে যেতে না পারে সেজন্য সবার ছুটি বন্ধ করা হয়েছে। আর যারা চীনে গেছেন, তারা যাতে বাংলাদেশে এখন আর না আসে সেজন্যও সতর্কতা জারি রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘নিজ দেশ থেকে ফেরা পাঁচ চীনা কর্মীকে কয়লা খনি হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চীন থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাদের কাজে যোগদান করতে দেয়া হয়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের কাজে যোগ দিতে বলা হবে।’
প্রকৌশলী মো, কামরুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘প্রকল্পের কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তবে এই ভাইরাসের যেহেতু কোনো ভ্যাকসিন নেই, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেগুলো নিতে হয়, সেগুলো নেয়া হচ্ছে যেমন, স্টাফদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, পরিস্কার-পরিচ্ছতা, হাইজিন ব্যবস্থা ও মাস্ক পরিধান।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির দুটি প্রকল্পতে বেশ কিছু চীনা নাগরিক কর্মরত। তাই, এই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চীনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আলাদা ক্যাম্প আছে। থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে আলাদা। যারা তাদের সার্ভ করেন তারা যেন সব সময় সেফটি ড্রেস (মাস্ক গ্লোভস) পরে থাকেন, সেদিকে জোর দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বেশি মেলা মেশাও সতর্কতা জারি রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব আমজাদ হোসেন জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পে উৎপাদনে নিয়োজিত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে প্রায় ৩০০ চীনা নাগরিক বিভিন্ন পদে খনিতে কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু শ্রমিক ছুটি কাটাতে দেশে গিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন চীনা কর্মী কয়লা খনিতে ফিরে আসেন। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওই পাঁচ কর্মীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক জানান, প্রকল্পে কর্মরত প্রায় ২৫ জন চীনা নাগরিকদের ছুটি বাতিল এবং যারা চীনে গেছেন তাদের বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রকল্পে।