Fri. Apr 25th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

দেশীয় চলচ্চিত্রে সৌন্দর্যের মানদণ্ড মৌসুমীর জন্মদিনে এমন অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়, যার বাক্য, অনুচ্ছেদ শেষ হওয়া মুশকিল। তবে জন্মদিনে মৌসুমীর জীবনে বড় একটা প্রাপ্তি নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। যেটাকে অনেক দেশীয় পর্যটক বা সিনেপ্রেমীরা চলচ্চিত্র জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন এটি। প্রশ্ন ভক্তদের, এমন অর্জন ক’জন অভিনয়শিল্পীর জীবনে আসে?

অভিনয় ক্যারিয়ারে মৌসুমীর সমস্ত অর্জনকে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সমুদ্রের বুকে একখণ্ড ভূমিতে তাঁর নামে একটি পাথরের কারণে। গভীর সমুদ্রে প্রবেশের পূর্বেই বাংলাদেশের সৌন্দর্যমন্ডিত দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এই সেন্ট মার্টিনদ্বীপেরই অংশ ছেঁড়াদ্বীপ। মানে ভাটার সময় একটাই দ্বীপ, কিন্তু জোয়ারের সময় আলাদা হয়ে যায় ছেঁড়াদ্বীপ। এ দ্বীপটি মূল সেন্টমার্টিন থেকে জোয়ারে ছিড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলেই ডাকা হয় ছেঁড়াদ্বীপ। দ্বীপে ওই একটি পরিবার ছাড়া আর কেউ বসতি গড়েননি। এখানেই চিত্রনায়িকা মৌসুমীর নামে একটি পাথরের নামকরণ করা হয়েছে।

অনেক চলচ্চিত্রপ্রেমী মনে করেন মৌসুমীর জীবনে চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কারের চেয়ে বড় প্রাপ্তি এটা। অস্কারের তালিকা দীর্ঘ হবে কিন্তু মৌসুমী পাথর বাড়বে না কখনোই, বঙ্গোপসাগরের বুকে  ভাস্বর হয়ে রইবে, যদি না কখনো ভায়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে বয়ে না যায়। যতদিন সেন্ট মার্টিন রবে ততদিন হাজার হাজার, লাখ মানুষ এই দ্বীপে গিয়ে মৌসুমীর সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হবেন। এমনটা বক্তব্য ভক্তদের কিংবা সেন্ট মার্টিনের পর্যটকদের।

এই দ্বীপের মূল আকর্ষণ প্রবাল পাথর। জোয়ার-ভাটার খেলায় এসব প্রবাল সকালে ডুবে, বিকেলে ভাসে। জোয়ার-ভাটার খেলায় শেষ যে পাথরটি দেখা যায় স্থানীয়রা সেটিকে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীর নামেই ডাকে। মজার বিষয় হলো এ ছেঁড়া দ্বীপে যে একটি পরিবার থাকে তাদের মেয়ের নামও মৌসুমী! হয়তো ওই পাথরের নামেই তার নাম রাখা হয়েছে!

ওই পাথরের নাম মৌসুমী রাখার কাহিনি স্থানীয়রা জানালেন, নব্বই দশকে বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ’র সঙ্গে মৌসুমী এই দ্বীপে আসেন। ‘অন্তরে অন্তরে’ ছবিতে ‘এখানে দু’জনে নির্জনে, সাজাবো প্রেমেরও পৃথিবী…’ এ গানের সঙ্গে মৌসুমী ওই পাথরে উঠে নাচ-গান করেছিলেন। সেই থেকে এ পাথরটিকে ‘মৌসুমী পাথর’ বলে জানে সবাই!

অন্তরে অন্তরে ছবির অভিনয় থেকে ফেরার পরই ওমর সানীর সঙ্গে খুনসুটি ও পরে ধীরে ধীরে সম্পর্ক প্রণয়ের দিকে  গড়াতে থাকে। ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট চিত্রনায়ক ওমর সানীর সঙ্গেই পরিণয়ে আবদ্ধ হন। তাদের রয়েছে এক ছেলে ফারদিন ও এক মেয়ে ফাইজাহ।