খোলাবাজার২৪, সোমবার, ১১ই এপ্রিল, ২০২২ঃ খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পশ্চিম কলারন আজহারআলী দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বচনকে সামনে রেখে দুর্নীতি,অনিয়ম,হুমকি প্রদর্শন এমনকি ভোটার সদস্যদের আটক রাখার ঘটনা ঘটেছে। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনের দিনযতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন পরিস্থিতি ঘোলাটে আকার ধারন করছে। ফলে প্রার্থী এবং সাধারন ভোটার সদস্যদের মাঝে একধরনের হতাশা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে ভূক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক,উপজেলানির্বাহী অফিসার,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,আগামী ২১ এপ্রিলঅনুষ্ঠিতব্য ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে এ মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতাসদস্য আলহাজ¦ আজহার আলীর পুত্র আবু মোহাম্মদ সভাপতি প্রার্থী হিসাবে তার প্যানেলের জন্য ৮টি ফর্ম ক্রয় করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান দলবল নিয়ে বাড়ী-বাড়ী গিয়ে সেই প্যানেলের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ না নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে আটক রাখেন। সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে আটক রেখে তাকে জোর করে নির্বচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেয়া হয়। সেখানে মাওঃ আঃ রহিম খাঁনকে দিয়ে ফর্ম কেনা হয়েছে। ভোটার সদস্য (ভোটার নং-৬৩) ইসমাইল হোসেন আভিযোগ করেন যে, তিনি অভিভাবক সদস্য হিসাবে নির্বাচন করার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনায়ন ফর্ম জমা দেন। কিন্তু যাচাই বাছাইয়েরদিন মিজানুর রহমান রাজু আহম্মেদকে দিয়ে ইসমাইল হোসেন এর প্রস্তাবকারী,সমর্থনকারীকে পথিমধ্যে আটকে রাখেন। এ সময় তাদের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার কথাবলাহয়। যে কারনে বাছাইকালে তার আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হতেপারেনি। এ ব্যাপারে ৭ এপ্রিল ইন্দুরকানী থানার অফিসার-ইন-চার্জের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে ।
অভিভাবক সদস্য আরিফ বিল্লাহ জানান,তিনিও ফর্ম কিনেছিলেন। কিন্তু বাছাইয়েরদিন তাকে ভাড়াটে লোকজন দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয় এবং নির্বাচনী কর্মকতার দপ্তরে উপস্থিত হতে দেয়া হয়নি। তবে এমাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নিবার্চনকে সামনে রেখে লাইজু বেগম নামে একজন মহিলা অভিভাবকে মনোনায়ন কিনতে যাওয়ার পথিমধ্যেবাঁধাদান, এবং পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবার হুমকি প্রদর্শনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মাদ্রাসায় তার ২ ছেলে পড়াশোনা করে। লাইজু বেগমের স্বামী আঃ রহিম দীর্ঘদিন গ্রীস প্রবাসী। নির্বাচনে লাইজু যাতে অংশ না নিতে পারে সে জন্য সেজন্যপ্রবাসী স্বামীকে ভোটার সদস্য করা হলেও বাড়ীতে থাকা মহিলা অভিাবকে ভোটার করা হয়নি। গত ৩ মার্চ মনোনায়ন কিনতে মাদ্রাসা সুপারের কাছে গিয়েছিলেন। পরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যাওয়ার পথে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর হুমকি দেয়ার গুরতর অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে সুপার আঃ সালাম বলেন,আমি নিরপেক্ষ,আমি এ বিষয় কিছু জানিনা,আমি ইউএনও স্যারের ওখানে গিয়েছি,সবাই আমার আপনজন। লাইজু আমার ছাত্রী,সে আমার এখানে আসেনাই,কিছ ুবলেনাই।