ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাবার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজের ১৬ ঘন্টা পর মহসিন মিয়া (৬) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের তিস্তার শাখা নদী (কাজিউলের দোকান সংলগ্ন) থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
শিশু মহসিন মিয়া তালুক বেলকা গ্রামের মিস্ত্রিপাড়ার নওশা মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় শ্যামরায়ের পাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে তালুক বেলকা গ্রামের তিস্তার শাখা নদীতে শিশু মহসিন মিয়া তার বাবার সঙ্গে মুঠোজাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার একপর্যায়ে ওই শিশু তার বাবার অজান্তে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে প্রায় পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও তারা উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে, প্রবল স্রোতের কারণে ওই শিশুর মরদেহ তিস্তার শাখা নদীতে ভেসে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কিশামত সদর গ্রামের কাজিউলের দোকান সংলগ্ন নদীতে থাকা একটি গাছের গুঁড়িতে মরদেহটি আটকে থাকে। সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্বজনদের খবর দেয়। পরে স্বজনরা শনাক্ত করে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজের প্রায় ১৬ ঘন্টা পর তিস্তার শাখা নদী থেকে ওই শিশুর মরদেহ করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।