সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : মন্ত্রিসভায় আবারও রদবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এবার বাদ পড়তে পারেন অন্তত দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী। সড়হঃৎরএর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেন চলতি বছরের জুলাই মাসে। সেসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রথমে অব্যাহতি ও পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বন্টন করেন।
একই সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন দায়িত্ব পান নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পদোন্নতি পেয়ে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এদিকে ইসলাম, মহানবী মোহাম্মদ (স.) ও হজ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
একাধিক সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে বিতর্কে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট এবং মামলাসংক্রান্ত জটিলতা ও স্বজনদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন দুই মন্ত্রী। এছাড়া দলের শীর্ষ নেতাদের সমালোচনা এবং নিজ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে বাদ পড়তে পারেন উত্তরবঙ্গের তরুণ এক প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে সূত্র দাবি করে, অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দিয়ে দিতেন। কিন্তু দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা ও সদস্যের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসের কারণে কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। কারণ হিসেবে সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন খাতে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন। ঠিক সে সময়ই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার ও সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। সারাদেশের এসব ঘটনায় নিহত হয় বেশ কিছু দলীয় সদস্যসহ সাধারণ মানুষ। এর পরই কঠোর অবস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী। টেন্ডার, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে শুরু করে সরকার।