খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫
দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বৃদ্ধি করে ‘দি সিভিল কোর্টস (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট, ২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ক্ষেত্রে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তির আপিল মামলা বিচারের ক্ষমতা পাচ্ছেন জেলা জজ। বর্তমানে জেলা জজদের আর্থিক এখতিয়ার ছিল পাঁচ লাখ টাকা। সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সংশোধিত আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। দেওয়ানি মামলার সম্পত্তির মূল্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয় কোন কোর্টে এর বিচার হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বর্তমানে সম্পত্তির মূল্য অনেক বেড়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। এ জন্য মন্ত্রিসভা সংশোধিত এ আইন অনুমোদন দিয়েছে।’ সংশোধিত আইন বাস্তবায়নের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ‘এতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কারণ বর্তমানে যে মামলা উচ্চ আদালতে হয় তা এখন নিম্ন আদালতে বিচারের জন্য যাবে। এতে মানুষের কষ্ট অনেক লাঘব হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেওয়ানি মামলায় সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার হল দুই লাখ টাকা। মামলা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্য যদি দুই লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তবে তা সহকারী জজ আদালতে বিচার হয়। এ সীমা বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। ১৫ লাখ টাকা মুল্যের সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা সহকারী জজ আদালতে বিচার্য হবে।’ ‘এর উপরে রয়েছে সিনিয়র সহকারী জজ। বর্তমানে তাদের আর্থিক এখতিয়ার হচ্ছে চার লাখ টাকা। সংশোধিত আইনে তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এরপর রয়েছে যুগ্ম জেলা জজ। তাদের ক্ষেত্রে আর্থিক এখতিয়ার সংশোধনের প্রয়োজন হয়নি। কারণ তাদের ক্ষমতা আনলিমিটেড (অসীম)।’ এ সংক্রান্ত আপিল আদালতের আর্থিক এখতিয়ার বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ্যাপিলেট কোর্টের ক্ষেত্রে বর্তমানে জেলা জজের আর্থিক এখতিয়ার পাঁচ লাখ টাকা। এটা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত তার আপিল মামলার শুনানি জেলা জজ আদালতে হবে।’ ‘এর উপরে হলে তা হাইকোর্ট বিভাগে যাবে। এখন সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি হলে তা হাইকোর্টে আসে সংশোধিত আইন কার্যকর হলে পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে আসবে।’ মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ‘এতে অনেক কম লোককে হাইকোর্টে আসতে হবে। দেশের দূর-দূরান্তের অনেক লোককে ঢাকায় আসতে হবে না।