খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সবাইকে এমপি-মন্ত্রী হতে হয় না, কিন্তু দেশপ্রেমিক হতে হয়। দেশপ্রেম ছাড়া দেশ রসাতলে যায়, শিক্ষা ব্যর্থ হয়। দৌড় শেষের সোনার ফিতা সবাইকেই ছুঁতে হয় না, কিন্তু ‘রিলে-রেসে’র কাঠি নিয়ে অপরের হাতে তুলে দিতে শ্রেষ্ঠ দৌঁড়টি দেয়াই জীবনের সফলতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বনানী ময়দানে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির দ্বাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সভার প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী সমবেত ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন, ‘তোমরা বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্যবাদ আর ডিজিটাল বাংলাদেশের কাঠি নিয়ে ‘রিলে-রেসে’ দৌড়াবে। ইউনেস্কোর কমিউনিটি মিডিয়া সেমিনারে যোগ দিতে তিনদিনের প্যারিস সফরশেষে এদিন ভোরে দেশে ফিরেছেন তথ্যমন্ত্রী। ‘যে জাতি বীরের সম্মান দেয়, সে জাতিই পারে নতুন বীর জন্ম দিতে। যে জাতি ইতিহাসকে সম্মান করে, সে জাতিই পারে নতুন ইতিহাস গড়তে,’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, পিতা-মাতা, শিক্ষক ও জাতির বীরদের জন্য অবশ্যই বুকে সম্মান ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, নৈতিকতার আদর্শে জীবন গড়ার বিকল্প নেই। কারণ, নীতি ছাড়া সমাজ বন্ধ্যা হয়ে যায়। ব্যর্থ হলে কখনো হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে, ব্যর্থতাকে সফলতার কাছাকাছি পৌছুঁনো বলে অভিহিত করেন জাসদ সভাপতি ও মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার পরও বারবার আমাদের ব্যর্থ হতে হয়েছে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড, ২১ আগস্ট বর্বর গ্রেনেড হামলা- আমাদের দেখতে হয়েছে। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। শেখ হাসিনার সরকারে জোট বেঁধে দেশের শত্রুদের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে আছি।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব রাষ্ট্রনায়ক তাদের জীবদ্দশায় সব সমাধান দিয়ে যেতে পারেন না। ঠিক যেমন শ্রেষ্ঠ পরিব্রাজকও পারেননা বিশ্বের সকল পথ ঘুরতে। কিন্তু সেই রাষ্ট্রনায়কই ইতিহাসের পাতায় অমর থাকেন, যিনি জাতির একটি যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে সঠিক পথের নিশানা দেন। বাঙালী জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের মোড়ে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার পিথনিশানা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের পাতায় অমর রাষ্ট্রনায়ক হয়ে রয়েছেন।’ নারী-পুরুষ সকলকে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নারীদেরকে পুরুষের চোখে চোখ রেখে উন্নত মস্তকে জীবন গড়তে হবে।’ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এম আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ডঃ আনিসুজ্জামান সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং সমাজকর্মী রোটারিয়ান হেলেনা জাহাঙ্গীর বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ডঃ আ, ন, ম, মেশকাত উদ্দীন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ।