সোম. মে ১৩, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

Pic 19-09-15 (2)বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সেনরাপ্রধান লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধেও চেতনাকে হত্যা করেছে। যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছি আওয়ামী লীগ বার বার সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে আঘাত করেছে। তিনি বলেন, শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। হত্যা, খুন, গুম, রাহাজানি, শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ সংকট গণতন্ত্রের সংকট। এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচনে; যে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর বিরাট আঘাত করা হয়েছে।

লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত “রাজনৈতিক সংকট সামাধানে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিকল্প নাই”- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। সাংস্কৃতিক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ হুমায়ুক কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এডভোকেট আহমদ আজম খান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিযা স¤্রাট, সাবেক ছাত্রনেতা বাবু সুরঞ্জন ঘোষ, সাংস্কৃতিক দলের এডভোকেট কানন খান, মোঃ ইউনুস, মন্টু খান, আবু হানিফ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ একটি পৈশাচিক হত্যার দেশে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করে মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দেশ আজ এক চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এই সংকট গণতন্ত্রের। এ সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। এর বাইরে গোঁজামিলের রাজনীতির সুযোগ নেই।

Pic 19-09-15 (1)শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই নিরাপদ নয়। আমরা কে কি করলাম এটি বিষয় নয়, ইতিহাসের ধারাবাহিকতার অনিবার্য পরিনতি থেকে স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের মুক্তি নাই। জনরোষের মুখে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভোটার বিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত স্বৈরাচারের পতন হবে।

এডভোকেট আহমদ আজম খান বলেছেন, সরকারের গণবিরোধী অবস্থান ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার অপরাজনীতি বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে। এ অবস্থা থেকে দ্রæত উত্তরণে সকল দলের অংশগ্রহনে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন বিকল্প নাই। আগামী বাংলাদেশে একটি দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার বিকল্প নাই।

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্যেই স্বাধীনতার সংগ্রাম। সুতরাং স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রামের কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেছেন, অপশক্তির মদদে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে অধিষ্ঠিত সরকারের কাছে জাতি গণতন্ত্র আর আইনের শাসন প্রত্যাশা করে না। গণজাগরণ অথবা গণঅভ্যূথানের মাধ্যমেই চলমান অচল অবস্থা থেকে দেশকে মুক্তি দেয়ার কোন বিকল্প পথ খোলা নাই।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ হুমায়ুন কবির বেপারী বলেছেন, বর্তমান সরকার একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুললেও একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের কপালে কালিমা লেপন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *