খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
চট্টগ্রাম বন্দরে আটক দুবাই থেকে আসা ব্যক্তিগত সামগ্রীর কার্টনভর্তি কন্টেইনারের চারটি কার্টন থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নোটগুলো আসল কি-না এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
সোমবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুল্ক গোয়েন্দাদের ধারণা, এই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপি বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল চোরাচালানি সিন্ডিকেট। এ ঘটনায় কন্টেইনার খালাসকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিক কর্মকর্তাসহ সর্বমোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল ইসলাম খান জানান, দুবাই থেকে বাংলাদেশি এক প্রবাসী নিজের পাসপোর্টের বিপরীতে ব্যক্তিগত সামগ্রী ঘোষণা দিয়ে ভারতীয় রুপিভর্তি কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম আনে। দুবাই থেকে শ্রীলংকার কলম্বো সমুদ্র বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে এই কন্টেইনার। রোববার রাতে ফ্ল্যাশ ট্রেড নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে কন্টেইনারটি খালাস করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা কন্টেইনারটি আটক করে। পরে এই কন্টেইনারের ভেতর রক্ষিত ব্যক্তিগত সামগ্রীর চারটি কার্টনে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় রুপির সন্ধান পান গোয়েন্দারা।
সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চার কার্টনের ভারতীয় রুপি গণনা শেষে সেখানে ২ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ রুপি পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। তবে নোটগুলো আসল কি-না এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। নোটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় রুপির নোটে ২৯টি স্বতন্ত্র চিহ্ন থাকে। যা দিয়ে নোটের আসল-নকল শনাক্ত করা হয়। কিন্তু আটক ভারতীয় নোটগুলোতে ২৭টি চিহ্ন পুরোপুরি মিলে গেলেও দুটি চিহ্ন গরমিল রয়েছে। নোটগুলো প্রাথমিকভাবে জাল হিসেবে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও এ বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর ইয়ার্ডে দুবাই থেকে আসা একই মালিকের চারটি কন্টেইনারের মধ্যে একটি কন্টেইনার ভারতীয় মুদ্রা থাকার অভিযোগে আটক করা হয়। আটক কন্টেইনারে থাকা ১৬৫টি কার্টনের মধ্যে চারটি কার্টনে পাওয়া যায় ভারতীয় রুপি। এই কন্টেইনারের অন্য ১৬১টি কার্টনও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তল্লাশি করা হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।